নারায়ণগঞ্জ মসজিদে বিস্ফোরণ: প্রাণ নিয়ে প্রথম বাড়ি ফিরলেন মামুন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ জন। বাকিদের বেশির ভাগই আশঙ্কাজনক। তবে শারীরিক অবস্থা উন্নতি হওয়ায় প্রথম প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন মো. মামুন (৩০)।

সোমবার বিকেলে চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বিস্ফোরণে মামুনের শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তবে তার শ্বাসনালি দগ্ধ হয়নি। তাকে ২ সপ্তাহ পর আবার ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আসতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো সমস্যা দেখা দিলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

ডা. সেন বলেন, বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭ জনকে এখানে ভর্তি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২৭ জন মারা গেছে। আর এই প্রথম এক রোগীকে ছাড়া হলো। বাকি ৯ জন এখনো আইসিইউ ও পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে ছাড়পত্র পাওয়া দগ্ধ মামুনের ভায়রা মোসলেম উদ্দিন জানান, মামুনের বাবার নাম মৃত লতিফ। স্ত্রী রুবি বেগমকে নিয়ে তল্লা এলাকায় থাকতেন তিনি। তার বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপায়। নারায়ণগঞ্জে কাউসার গার্মেন্টস চাকরি করতেন তিনি।

তিনি বলেন, মামুনের দুই পা, বাম হাত, চুল, ঠোঁট, নাক, বাম কান ও গলায় কিছু কিছু অংশ দগ্ধ হয়েছিল। রোববার রাতে তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। দুপুরে তার পুড়ে যাওয়া জায়গায় ড্রেসিং করা হয়। এরপর চিকিৎসকেরা তাকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান আমাদের। তবে তার ঘা এখনো শুকায়নি। ঘা শুকাতে সময় লাগবে।

স্ত্রী রুবি বেগম বলেন, ঘটনার রাতে লোকজন তাকে ধরাধরি করে বাসায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতাল থেকে ওষুধপত্র লিখে দিয়েছে। তাকে এখন নারায়ণগঞ্জের বাসায় নিয়ে যাব।

ছাড়পত্র পাওয়া পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মামুন বলেন, আমি সুস্থ হয়ে বাসায় যাচ্ছি এ জন্য খুব ভালো লাগছে। কখনো ভাবতে পারি নাই বাসায় ফিরতে পারব। শুনেছি ২৭জন মারা গেছে। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর