অর্ধেকও পূরণ হয়নি খাদ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল থেকে ধান ও ৭ মে থেকে বোরো মৌসুমের চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করে সরকার। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় সাড়ে ১৯ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৮ লাখ টন ধান, ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল ও দেড় লাখ টন আতপ চাল। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতি, বন্যা ও মিল মালিকদের অসহযোগিতায় নির্দিষ্ট সময়ে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য অধিদফতর।

আর এ সুযোগে চালের দাম বাড়াতে তৎপর অসাধু সিন্ডিকেট। ফলে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ২ লাখ ৮ হাজার ৩৩৭ টন ধান, ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫৫ টন সেদ্ধ চাল ও ৮২ হাজার ৭৯৫ টন আতপ চাল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় খাদ্য অধিদফতর। যা লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম। এমতাবস্থায় সংগ্রহ অভিযানের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় বোরোতে ভালো ফলনের পরও আউশ-আমনের আবাদ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে সরাকার। এদিকে, বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের অভিযানে গতি না আসায় মিল মালিকরা পরস্পরকে দায়ী করছেন। দায় চাপাচ্ছেন বন্যা ও করোনা পরিস্থিতির ওপরও।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম খান বলেন, ‘সিন্ডিকেটের যে মূলহোতা তিনি আবার খাদ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করছেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খাদ্যে দেশকে অস্থিতিশিল করতে চাচ্ছেন। সরকারের উচিত প্রত্যেক ব্যবসায়ীর চাল সংগ্রহের হিসাব নির্দিষ্ট করে দেওয়া।’

তবে, এসব অভিযোগ মানতে নারাজ বাংলাদেশ রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ। চলমান সংকটের জন্য তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগকে দায়ী করছেন তিনি।

জানা গেছে, সরকারি গুদামে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চাল, ধান ও গমে মজুদ ছিল প্রায় ১৩ লাখ ৩৮ হাজার টন। যার মধ্যে ১১ লাখ ১ হাজার টন চাল। বাকিটা গম। যদিও গত বছর মজুদ ছিল ১৬ লাখ টন খাদ্য। বিদ্যামান মজুদকে সন্তোষজনক বলছে খাদ্য অধিদফতর। তবে নতুন সংগ্রহে গতি না আসায় চালকল মালিকদের অসহযোগিতা অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আড়ৎ ঘুরে দেখেছি প্রচুর চাল আসছে। ব্যবসায়ীরা ধান বেশি দামে কেনায় চালের দামও একটু বেড়েছে। কৃষকরা এ বছর কম ধান বিক্রি করেছে।’তবে সময় বাড়ানোয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হতে পারে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর