ইসলামি বিধান মেনে চলা শীর্ষ দেশ এখন আয়ারল্যান্ড, ধারে কাছেও নেই সৌদি আরব

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইসলামের বিধান মেনে চলার ব্যাপারে গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য বিভাগের প্রফেসর হুসেইন আসকারি।

সেই গবেষণায় তিনি দেখার চেষ্টা করেছেন, বিশ্বের কোন দেশগুলোতে দৈনন্দিন এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলামি বিধান মেনে চলা হয়। গবেষণার নমুনায় দু’শ আটটি দেশের মধ্যে দেখা গেছে ইসলামি রীতি মেনে চলা দেশের তালিকার শীর্ষে ইসলামি কোনো দেশের নাম নেই।

এমনকি তালিকার ৩৩ নম্বরে রয়েছে মালয়েশিয়া, কুয়েত রয়েছে ৪৮, বাহরাইন ৬৪ এবং সৌদি আরব রয়েছে ১৩১ নম্বরে। গবেষক হুসেইন আসকারি বলেন, মুসলিম দেশগুলো রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ইসলামি আইন ব্যবহার করে। এমন অনেক দেশ আছে; যেগুলো ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত।

তবে সেখানকার সমাজে ইসলামি আইন মেনে চলা হয় না, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে, এমনকি ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড চলছে সেখানে। গবেষণার ফলাফলে দেখানো হয়েছে, সমাজে ইসলামি বিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও বেলজিয়াম তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

অন্যদিকে তথাকথিত ইসলামি দেশগুলোতে মুসলমানরা নামাজ আদায় করেন, রোজা রাখেন, কোরআন-হাদিস পড়েন, নারীরা পর্দা মেনে চলে, দাড়ি রাখার সংখ্যা বেশি, ইসলামি পোষাক নিয়ে সচেতন; তবে সমাজে দুর্নীতি আর পেশাগত জীবনে অসদুপায় অবলম্বনের নজির চতুর্দিকে।

এর আগে ২০১০ সালেও এক গবেষণায় ইসলামি বিধান মেনে চলা দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে ইসলামি রাষ্টের নাম ছিল না। ওই গবেষণায় নিউজিল্যান্ড, লাক্সেমবার্গ, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ড ছিল তালিকার শীর্ষে।

আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী

ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে।-খবর এএফপি’র। এতে তিনি যে ব্রেক্সিটে ব্যর্থ হয়েছেন, সেটি সম্পাদনে তার উত্তরসূরি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক দৌড় শুরু হবে।

নতুন নেতা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই থাকছেন, সেটা সম্ভবত আগামী জুলাইয়ের শেষ নাগাদ পর্যন্ত হবে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের জটিল প্রস্থানের গতিপথের নিয়ন্ত্রণ আর নিজের হাতে রাখেননি তিনি। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন হওয়ার কথা।

কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা যখন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, তখন এ প্রকল্প পার্লামেন্টে কেবল ব্রাসেলসের সঙ্গে একমত হওয়া বিচ্ছেদ পরিকল্পনায় আটকে আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে ২০১৬ সালের গণভোটের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তেরেসা মে। এরপর তিন-তিনটি বছর পরিকল্পনা রচনা করতেই কাটিয়ে দেন তিনি। এ পর্যন্ত ব্রেক্সিটে দুইবার বিলম্ব ঘটেছে।

গত মাসে কান্নারত অবস্থায় নিজের চূড়ান্ত ব্যর্থতা স্বীকার করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তেরেসা মে। এর আগে কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তার কতৃত্বের প্রাণশক্তি ধীর গতিতে হারিয়ে যাচ্ছিল। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত ১১ কনজারভেটিভ এমপি লড়াইয়ে নেমেছেন।

এদের মধ্যে দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনও রয়েছেন। কিন্তু সোমবারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে কয়েকজন মনোনয়ন তুলে নেবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তেরেসা মে’র পরিকল্পনা রক্ষা করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তার উত্তরসূরির হাতে মাত্র কয়েকটি মাস থাকবে। নাহলে ফের বিলম্ব ঘটাতে হবে ব্রেক্সিটে

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর