হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতিতে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চলাচলের যে ব্যবস্থা হয়েছে, তা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তবে ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি। গতকাল সোমবার রেলভবনে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘সব ট্রেন আমরা পর্যায়ক্রমে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখন উপরের দিকে যাবে না নিচের দিকে নামবে তা এখনও আমরা নিশ্চিত নই। তবে পরিবহন বাসে আসন পূর্ণ করে আগের ভাড়ায় চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তেমন সিদ্ধান্ত নিইনি।’
রেলের ভাড়া বাড়ার বিষয়ে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি, তবে এ বিষয়ে গবেষণা চলছে ভবিষ্যতের জন্য। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চালাতে। তিনি পণ্য পরিবহন করে রেলের আয় বাড়াতে বলেছেন।’
ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় রেলে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে যে প্রশ্নগুলো তোলা হচ্ছে, সেটি কিন্তু সঠিক না।
রেল মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চালু হলে মোট ৬৭ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
এদিন রেলভবনে পণ্য পরিবহনে ১২৫টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহে একটি চীনা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রোলিং স্টক অপারেশন্স ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ও চীনের সিনটিক-রেলটেকো-জিনজির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইয়ং বিং চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, মোট ৩৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে লাগেজ ভ্যান কেনা হবে। এর মধ্যে ৭৫টি মিটারগেজ ভ্যানের ১৮৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা ও ৫০টি ব্রডগেজ ভ্যানের জন্য ১৭৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
ট্রেনে আম পরিবহনের কথা তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে পরিবহন করা হলে কৃষক তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে, ক্রেতাও সঠিক দামে পণ্য কিনতে পারবে। কৃষক ও ভোক্তা উভয়েই লাভবান হবে।