নদী ভাঙনে বিপর্যস্ত জীবন বছরে গৃহহীন লাখো পরিবার : পানি কমছে, বাড়ছে দুর্ভোগ পদ্মায় বিলীনের পথে গুচ্ছগ্রাম

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বন্যার পানি কমতে শুরু করায় স্রোতের কারণে দেশের কয়েকটি নদীর পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই পদ্মা, যমুনা, তিস্তা, ব্রক্ষপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ কয়েকটি নদীর শতাধিক পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর জেলার পদ্মা পাড়ের মানুষের। এ ছাড়াও গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর জেলার নদীপাড়ের লাখ লাখ মানুষ নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ভাঙন দুশ্চিন্তায় দিশেহারা তারা।

নদী ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ জানায়, ভারত থেকে নেমে আসা উত্তর অঞ্চলের বন্যার পানি বিভিন্ন নদী হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যাচ্ছে। এসময় নদীতে তীব্র ঘ‚র্ণি স্রোত তৈরি হয়েছে। এর ফলে নদী ভাঙছে। জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম মকসুদুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, নদীর ভাঙন ঠেকানোর কোনো পথ নেই। তবে একটু বেশি উদ্যোগ নিলে কি ভাঙন ঠেকানো সম্ভব। এখন যেখানে ভাঙছে সেখানেই দেখা যাচ্ছে বহু মানুষ গৃহ হারাচ্ছেন। শতবছরে ডেল্টা প্লান্ট বাস্তবায়ন হলে অনেক নদী শাসনের মধ্যে আসবে। এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের বড় ধরনের পরিকল্পনা নিতে হবে।

দেশ জুড়ে কয়েকশ’ নদ-নদী-উপনদী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভাঙনপ্রবণ নদী হচ্ছে যমুনা, পদ্মা, মেঘনা। আর কম ভাঙন নদীর মধ্যে ছিল তিস্তা। সেই তিস্তা এবার প্রবণের মধ্যে পড়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে নদীভাঙনে এ দেশের সোয়া দুই লাখ হেক্টরের মতো জমি বিলীন হয়েছে। যমুনা নদীতে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি সর্বস্বান্ত । বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও নদীভাঙন এবং ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। অনেক মানুষ এখনো আশ্রয় কেন্দ্র এবং বাঁধে অবস্থান করছেন। প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি ত্রাণ সহায়তাও অপ্রতুল। অনেক জেলায় খবার পানির সঙ্কট তীব্র দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সঙ্কট। নদীভাঙন নতুন সঙ্কট তৈরি করছে। এবার ২৪ হাজার ১৪০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বন্যা প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে সরকারি সংস্থা সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস)-এর তথ্য মতে, প্রতি বছর ভাঙনে নদীতে চলে যায় প্রায় চার হাজার হেক্টর জমি। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লাখো পরিবার। সবকিছু হারিয়ে নানা ধরনের দুর্দশার মুখোমুখি হয় তারা।

প্রতিবছর বর্ষামৌসুমেই সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদীভাঙনে লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের তথ্য মতে, গত দুই বছরে এক নদীর ভাঙনেই ১২০ হাজার হেক্টরের মতো জমি হারিয়ে গেছে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৭ সাল থেকে প্রমত্ত পদ্মায় গত বছর দেশের ৬০ হাজার হেক্টর (২৫৬ বর্গমাইল)-এর বেশি জমি বিলীন হয়েছে। তবে এ বছর আরো বেশি জমি ঘর বাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলিন হয়েছে। অন্যদিকে পদ্মা-যমুনার মতোই গত কয়েক বছর ধরে ভয়ঙ্কর আগ্রাসী হয়ে উঠছে মেঘনা। এ নদীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদপুর এবং বরিশাল এলাকার মানুষ। সিইজিআইএসের তথ্য মতে ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মেঘনার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ২৫ হাজার ৮২০ হেক্টর এলাকা। তবে এ বছর আরো বেশি নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে। সেই তুলনায় ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। দেশে নদীভাঙন প্রতিরোধের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় এর পূর্বাভাস এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া গেলে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সিইজিআইএসের তথ্যে বলা হয়, নদীর তীর ভাঙন একটি নিঃশব্দ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সময়-সিরিজ শুকনো মৌসুম উপগ্রহের চিত্রের ওপর ভিত্তি করে যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মা নদীগুলোর এক বছর আগে নদীর তীর ভাঙনের পূর্বাভাস দেয়ার জন্য সিইজিআইএস একটি অনন্য সরঞ্জাম তৈরি করেছে।

সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের নির্বাহী পরিচালক মমিনুল হক সরকার জানান, গত চার দশকে বাংলাদেশের প্রাণ তিনটি নদীতে দেড় লাখ হেক্টর জমি হারিয়ে গেছে। আর ভেসে উঠেছে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমি। এবার তার চেয়ে বেশি ভেঙে গেছে। মমিনুল হক সরকার বলেন, আমরা বহু বছর ধরে নদীর ভাঙন নিয়ে কাজ করে আসছি। ৫১ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি, শুধু যমুনা নদীতে আমরা হারিয়েছি, দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি। যেটা একটি জেলার সমান। পদ্মা-মেঘনা ঘমুনা মিলিয়ে আমরা এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ২০০ স্কয়ার কিলোমিটার জমি নদীগর্ভে হারিয়েছে। তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম তিস্তা থেকে যমুনা ঢোকার পর থেকেই সেখানকার জেলাগুলোয় ভাঙন হচ্ছে। গাইবান্ধা, জামালপুর ও পাশের জেলাগুলো এর মধ্যে রয়েছে। কয়েক দশক ধরেই সিরাজগঞ্জ সবচেয়ে বেশি ভাঙনপ্রবণ এলাকা। আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের যে এলাকা থেকে গঙ্গা প্রবেশ করেছে, যাকে আমরা গবেষকরা আরিচা পর্যন্ত গঙ্গা বলেই সম্বোধন করছি, সেখানে প্রচুর ভাঙছে।

এদিকে গত দেড় মাস থেকে বয়ে আসা বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নদীর ভাঙ্গন তীব্র দেখা দিয়েছে। নদীর ভাঙনকবলিত জেলাগুলো হচ্ছে, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের সিডারচর এলাকায় করপারা গুচ্ছগ্রামটি পদ্মা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। ১৫ দিনে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পটির ৪০ শতাংশ জায়গা পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন-আতঙ্কে গুচ্ছগ্রামটির বাসিন্দারা নিরাপদ অন্যস্থানে সরে যাচ্ছে। তবে ভাঙন রোধে ৩৩০ মিটার জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জাজিরার বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন ছিল। কুন্ডেরচর ইউনিয়নের কলমিরচর এলাকায় বাড়ি ছিল ধলু সরদারের। তিনি কোথায়ও আশ্রয় না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে করপারা গুচ্ছগ্রামে ওঠেন। নদীভাঙন আমাদের পিছু ছাড়ছেই না। এ পর্যন্ত তিন দফা ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়েছি। সর্বশেষ আশ্রয়টুকুও হারালাম। মোহাম্মদ ফরাজি ও আলম সরদার জানান, গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হয়ে তারা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছিলেন। সেই গুচ্ছগ্রাম এখন ভাঙনের কবলে পড়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ভাঙন ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া ইনকিলাবকে বলেন, ভাঙনকবলিতদের কোথাও আশ্রয় দেয়া সম্ভব হয়নি। বন্যার জন্য খোলা আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে খাদ্যসহায়তা ও নগদ তিন হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। শরীয়তপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব ইনকিলাবকে বলেন, পদ্মার পানি কমতে থাকলে ভাঙনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। এখানে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী স্যার নিজেই তদারকি করছেন।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি কমেছে। কিন্তু ভাঙন তীব্র হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকায় ভাঙছে বসতভিটা ও আবাদি জমি। নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার। ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন সড়কের পাশে। গত চার দিনে উপজেলার ইছলি এলাকায় শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ল²ীটারি ইউনিয়নের ইছলি গ্রামের তৃতীয় দফা বন্যার পর নদী ভাঙনকবলিত মানুষের এমন দুর্দশার চিত্র জানা গেল। এ বছর কয়েক দফা বন্যার পর নতুন করে এই এলাকা ভাঙছে। নদীর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন হয়ে এবার এই এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীভাঙনে আতঙ্কিত হয়ে শতাধিক পরিবার বাড়িঘর ভেঙে দূরে সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে দুর্ভোগ কমছে না বানভাসি মানুষের। নদীর পানি কমার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। বন্যা শেষ না হতেই ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সদর উপজেলার কাকুয়া, চরপৌলী, গোয়াইলা এলাকার লোকজন। গেল একমাসে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে নতুন নতুন ঘর-বাড়ি। ভাঙনের তীব্রতা এতো বেশি যে ঘর-বাড়ি পর্যন্ত সরানোর সময় টুকুও পাচ্ছে না তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ এখন পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধি, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের কোনো প্রকার খোঁজ নেয়নি। ভাঙন রোধে কোনো প্রকারের ব্যাবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি। দ্রিত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভাঙনকবলিতরা।

মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জে পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। লৌহজং এবং শ্রীনগরে বানভাসিরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। পদ্মার তীব্র স্রোতে অনেক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিম্মআয়ের লোকজন কর্মহীন হয়ে পড়ায় বাড়িঘর মেরামত করতে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে। বন্যার্তরা বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ ও চর্মরোগে ভুগছে। লৌহজং প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য ১৮৯ মেট্রিক টন চাউল ও ১৯ শত প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান : মাদারীপুরের ৪টি উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে। জেলার পদ্মা নদী ও আড়িয়ালখাঁ নদীর দু’পাশের অনেক গ্রামের নিচু স্থানের ঘরবাড়ি এখনও পানিতে ভরপুর। সরকারের পক্ষ থেকে বন্যা ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, মাদারীপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। প্রতিদিনই বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতেছে। মাদারীপুরের ৪টি উপজেলার পদ্মা ও আড়িয়ালখাঁ নদী বিভিন্ন স্থানে ভাঙতেছে। ভাঙন প্রতিরোধে আমরা কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছি।

বেনাপোল অফিস জানান, যশোরের শার্শা উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল’র সীমান্তবর্তী নদী ইছামতির উজানের পানির ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েকশ’ হেক্টর জমির আমন ফসল তলিয়ে গেছে। আউশ আমনসহ সবজিক্ষেতও ডুবেছে পানিতে। ভারত থেকে পানি এসে ইছামতি নদী উপচে বাংলাদেশের শার্শা উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে ইছামতি নদীর পানি বেড়েছে। এই পানি রুদ্রপুর খাল দিয়ে ঢুকে শার্শার দক্ষিণাঞ্চলের মাঠ-ঘাট ভাসিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শৌতম কুমার শীল জানান, ইছামতি নদীটি খনন না করায় বর্ষায় প্রতিবছর নদীর পানি উপচে বাংলাদেশে ঢুকে উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। দাদখালি খালের ওপর নির্মিত সুইজ গেইটটি মেরামত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর