কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনার ভয়কে জয় করে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। হাজারও পর্যটকদের ভিড়ে কুয়াকাটায় দীর্ঘদিন পর আবার উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার কোরবানির ঈদে সোমালিয়া থেকে পাঁচ পর্যটকও কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে এসেছেন। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য উপভোগসহ পর্যটকরা কুয়াকাটার লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইনদের তাঁতপল্লি, আলীপুর-মহিপুর মত্স্যবন্দরসহ দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া রাতে সৈকতের কোলঘেঁষে অবস্থিত মুখরোচক খাবার কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রকার সমুদ্রের মাছ ফ্রাই খাওয়ার স্বাদই আলাদা। এমন মুখরোচক খাবারের স্বাদ পর্যটকদের বার বার কুয়াকাটার কথা স্মরণ করিয়ে দেবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। আগত

পর্যটকরা জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতেই তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। নিজের দেশকে ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছেন এই ঈদে। এখানকার সৌন্দর্য তাদের মুগ্ধ করেছে। কুয়াকাটা এমন একটি সমুদ্রসৈকত যেখানে বারবার আসতে ইচ্ছে করবে, অবসর পেলেই এমনটাই অভিমত পর্যটকদের। এ বছর পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছিল। গত ১ জুলাই পর্যটনমুখী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার পর এ ঈদে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করছে। ঈদের প্রথম দিন থেকেই কুয়াকাটায় শত শত পর্যটক আসতে থাকে। আবাসিক হোটেলগুলো কম বেশি বুকিং হয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। দিনে দিনে কুয়াকাটা পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি বাড়ছে। বাড়ছে এখানকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন। কুয়াকাটার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক ও নদীপথের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে। বাড়ছে কুয়াকাটা পর্যটনের সক্ষমতা। কুয়াকাটাকে ঘিরে বর্তমান সরকার সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তবে এখানকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থা এখনো অনুন্নত থাকায় এখানকার দর্শনীয় স্পটগুলো দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পর্যটকরা। খুলনা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মিলন মিত্র বলেন, কুয়াকাটার হোটেলগুলো মোটামুটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। তিনি দুই বছর পূর্বে একবার এসেছিলেন তখনকার চেয়ে এখনকার পরিবেশ সন্তোষজনক।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ জানান, করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যটনমুখী ব্যবসা বন্ধ থাকার পর এই প্রথম উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পর্যটক এসেছে। অনেক পর্যটকরাই অগ্রিম হোটেল বুকিং দিচ্ছেন। এভাবে পর্যটকদের আসা অব্যাহত থাকলে তাদের মন্দা কেটে যাবে। তিনি আরো বলেন, কুয়াকাটার প্রত্যকটি হোটেল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। তাই এখানে করোনা ভয় কম।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর