ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঈদুল আজহা শেষে ঢাকা ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। মঙ্গলবার ঢাকামুখী বাস ও লঞ্চে যাত্রীচাপ বেশি ছিল।

এদিন দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ৮০টি লঞ্চ ঢাকা নদী বন্দরে (সদরঘাট) এসে পৌঁছেছে। সারা দেশ থেকে রাজধানীতে এসেছে কয়েক হাজার বাস।

বিভিন্ন শিল্প-কারখানা ও অফিস খুলতে শুরু করায় ঢাকামুখী যাত্রীচাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তবে ভিন্ন চিত্রও রয়েছে।

এখনও অনেকেই গ্রামে যাচ্ছেন। স্বজনদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন কোরবানির গোশত। তবে আসা-যাওয়ার পথে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অনেক যাত্রী। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ারও আশঙ্কা বাড়ছে।

সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় ফেরা অধিকাংশ লঞ্চেই ছিল কর্মজীবী মানুষের ভিড়। লঞ্চের ডেক থেকে শুরু করে কেবিন এমনকি কেবিনের সামনের গলিপথেও মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

টার্মিনালের প্রতিটি পন্টুনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে ছিল না মাস্কও।

হাতিয়া থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ এমভি তাশরিফের যাত্রী জিয়াউদ্দিন বলেন, লঞ্চ ছাড়ার পর মনপুরা ও ভোলার কয়েকটি ঘাট থেকে যাত্রী নেয়ার পরপরই পুরো লঞ্চ ভর্তি হয়ে যায়। মানুষের ভিড়ে তিল ধরার জায়গা ছিল না।

অনেক কষ্ট করে ঢাকায় এসেছি। বরিশাল থেকে আসা যাত্রী সিয়ামুর হক বলেন, আজ (মঙ্গলবার) অফিসে যোগ দিতে হবে। তাই লঞ্চে করে চলে আসলাম। লঞ্চে তো মানুষের পা রাখার জায়গা নেই।

কোনোভাবে ডেকের এক কোণে একটু বিছানা করে নিয়েছি। রাতে বৃষ্টিও হয়েছে। নির্ঘুম রাত কেটেছি। মানুষের চেঁচামেচি আর প্রচণ্ড ভিড় দেখে মনে হচ্ছে যেন করোনা বলতে কোনো কিছু নেই।

এরপরেও আসতে হয়েছে। অনেকেরও মুখে মাস্কও ছিল না। অফিস তো আর এসব বুঝবে না। তাই করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়েই চলে এসেছি।

যাত্রীচাপের চিত্র অনেকটা একই ধরনের দেখা গেছে গাবতলী বাস টার্মিনালেও। তবে অধিকাংশ বাসে স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে দেখা গেছে।

যারা বাসে পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছেন তারা পাশাপাশি দুই সিট নিয়েই এসেছেন।

বিষয়টি নিয়ে পরিবহন চালকরা জানিয়েছেন, যাত্রীরা মানতে রাজি হয়নি। তারা বলছেন, তারা আত্মীয়-স্বজন। সে কারণেই তারা পাশাপাশি সিটে বসেছেন। ছুটি শেষে যশোর থেকে ঢাকায় ফিরেছেন সরকারি চাকরিজীবী আশরাফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সোমবার অফিস খুলেছে। স্যারকে বলে আরও দু’দিন ছুটি নিয়েছি।

বউ-বাচ্চাকে বাড়িতে রেখে এসেছি। আরও কয়েকদিন বেড়াবে। এরপর আসবে। কারণ এখন এলে যাত্রীদের যে চাপ তাতে দুর্ভোগের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, যাত্রীদের চাপ কিছুটা বাড়ছে। তবে ফেরি ঘাটগুলোতে ভিড় থাকার কারণে জট লেগে যাচ্ছে।

আমরা সব পরিবহন মালিকদের বলে দিয়েছি কোথাও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে পরিবহনে যাত্রী নেয়া যাবে না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর