রফতানি-আমদানিতে মন্দা, ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যেখানে রফতানি আয় বেড়েছিল ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, সেখানে বিদায়ী অর্থবছরে এটি কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। মাসওয়ারি দেখলে গত বছরের মে মাসে যেখানে রফতানি আয় বেড়েছিল ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ, সেখানে চলতি মে মাসে এটি কমেছে ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

রফতানির সঙ্গে আমদানির সম্পর্ক নিগূঢ়, ফলে রফতানি আয় ও রফতানির পরিমাণ কমার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে আমদানি ব্যয় ও এর পরিমাণও। একটি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকার অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।

আমদানি-রফতানিতে মন্দা ও বহুমুখী চ্যালেঞ্জ থাকলে সামষ্টিক অর্থনীতিকে এর দায় ভোগ করতে হয়। প্রবৃদ্ধি কমে যায়, কমে যায় রাজস্ব আয়ও। বর্তমানে আমাদের গোটা অর্থনীতি এমন চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত পার করছে।

আমদানি-রফতানি কমে যাওয়া এবং এ খাতে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সমস্যাটি এককভাবে দূর করার কোনো সুযোগও নেই। যে কারণে আমাদের আমদানি-রফতানিতে সমস্যা, সেটি বিশ্বের প্রায় সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

আমাদের প্রধান আমদানি-রফতানিকারক দেশগুলো যেমন- চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় থাকার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ধরে রাখা এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

এটা সত্য, করোনা মহামারীর ধাক্কা ইউরোপের দেশগুলো সামলে উঠছে। কিন্তু এখনও তাদের অর্থনীতি স্বাভাবিক হয়নি। এখনও জরুরি পণ্যের দোকান খোলা হলেও তৈরি পোশাকের দোকানগুলো সেভাবে খুলছে না।

ফলে আমাদের পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পের ৪০০ কোটি ডলারের মতো অর্ডার বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। অন্যদিকে পিপিই ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রীর অর্ডারও খুব বেশি না থাকায় বেশিরভাগ কারখানাতেই কাজ নেই এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হলে মানুষ কাজের ধারায় ফিরবে। এখন প্রধান কাজ হল টানা তিন-চার মাস লকডাউনের ক্ষত পোষাতে কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানো। তাহলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, বাড়বে পণ্যের চাহিদা ও আমদানি-রফতানি। সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, বিনিয়োগ নীতি সহজ করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর