হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি। এখনও বিক্রি হয়নি দেশের সবচেয়ে বড় কোরবানির গরু ‘ভাগ্যরাজ’। ৫২ মণ ওজনের এই গরু নিয়ে এখন দুঃশ্চিন্তার যেন শেষ নেই খামারি ইতি আক্তারের।
ইতি বলছেন, এতবড় গরু নিয়ে পশুর হাটে যাওয়ার ঝামেলা অনেক। তাই হাটে তোলেননি গরুটি। উপযুক্ত দামে বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চান তিনি। কিন্তু ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও ক্রেতার তেমন সাড়া মিলছে না। এ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তার কপালে। এবার ভাগ্যরাজের দাম ঠিক করেননি ইতি। বলছেন, উপযুক্ত দাম পেলেই গরুটি বিক্রি করে দেয়া হবে।হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের সাদা কালো রংয়ের এই গরু লম্বায় সাড়ে ৮ ফুটেরও বেশি। ওজন বলা হচ্ছে ৫২ মণ। খামারির দাবি এটি দেশের সবচেয়ে বড় কোরবানির গরু।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের ইতি আক্তারের খামারে লালন-পালন হচ্ছে দেশসেরা গরু ভাগ্যরাজ। ইতির বাবা কৃষক খান্নু মিয়ার পেশা গরু লালন-পালন। কোরবানির সময় গরু আর সারা বছর গাভির দুধ বিক্রি করেই চলে তার সংসার। তার খামারে প্রথমে শুধু গাভি পালন হত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ছোট মেয়ে ইতি শুরু করেছেন দেশীয় প্রদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ। প্রতিবছর কোরবানির ঈদ আসলেই আলোচনায় আসে কৃষক পরিবারটি।
কারণ গত কয়েক বছর ধরে দেশসেরা কোরবানির পশু লালন পালন হয় এই খামারেই। ২০১৮ সালে দেশের আলোচিত কোরবানির গরু ৫২ মণ ওজনের ‘রাজাবাবু’ তৈরি হয়েছিল এই খামারটিতেই। এছাড়া বিশালাকৃতির ভাগ্যলক্ষ্মী ও লক্ষ্মীসোনা নামের কোরবানির গরু পালন করেও আলোচনায় আসেন ইতি।
তিনি জানান, ভাগ্যরাজকে দেশীয় প্রদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হয়েছে। গরুটি গত ঈদেই বিক্রি করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু ভালো দাম না পাওয়ায় তাকে বিক্রি করা হয়নি। একটি বছর তাকে পরমযত্নে লালন-পালন করা হয়েছে। আশা ভালো দাম পাওয়ার। কিন্তু এমনিতেই করোনা দুর্যোগ তার ওপর বন্যা। এ কারণে এবার গরুর বাজার মন্দা। বেপারীরাও গ্রামে আসছে না। কিন্তু এত বড় গরু লালন-পালনে খরচ অনেক।
তিনি বলেন, তাই ভাগ্যরাজকে এবার বিক্রি করতেই হবে। উপযুক্ত দামে গরুটি খামার থেকেই বিক্রি করতে চান তিনি। ক্রেতার সুবিধার্তে ঈদের দিন সকাল পযর্ন্ত গরুটি খামারেই লালন-পালন করে দিতেও আগ্রহী আছেন তারা।
ভাগ্যরাজকে কিনতে আগ্রহী ক্রেতারা ০১৭৮৪৮৬৪১৬১ এবং ০১৭৩৩৬৮৮১৯৪ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
ইতি আক্তার আরও জানান, প্রতিবছর আকর্ষণীয় কোরবানির গরু পালন করি বলে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। যেন আমরা আর দেশসেরা কোরবানির গরু পালন না করি।
এবারো ভাগ্যরাজকে নিয়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর নানা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এতে করে তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।