১১ বছর পরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান সফর করলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর পরে নরেন্দ্র মোদি। গন্তব্য শরিফের পৈত্রিক বাড়ি রায়উইন্ড। কাবুল থেকে ফেরার আগে গোটা বিশ্বকে চমকে দিলেন মোদি। আজ শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফের ৬৬ তম জন্মদিন। আর এই জন্মদিনে আফগানিস্তান থেকেই লাহৌর পৌঁছলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাক-প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফের বাসভবনেই বৈঠকে বসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আজই লাহৌর থেকে নয়াদিল্লির বিমানে উঠবেন মোদি। পাক-মুলুকে পা রাখার আগে পাক-প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করেন তিনি। এদিকে দেশে পাক-সফর নিয়ে মোদিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ভারতের সঙ্গে কি পাকিস্তানের সম্পর্ক ভাল হয়েছে? তাহলে মোদি কেন পাকিস্তানে যাচ্ছেন?’ এবেলার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়। লাহৌর বিমান বন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান নেওয়াজ শরিফ। বিমান বন্দরে মোদি ও শরিফ পরস্পরকে আলিঙ্গন করেন। ১১ বছর পরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পাক সফর করলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর পরে নরেন্দ্র মোদি। বিমান বন্দর থেকে মোদি ও শরিফ এক হেলিকপ্টারে ওঠেন। প্রথমে তাদের গন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা শুরু হয়। পরে জানা যায় তারা শরিফের পৈত্রিক বাড়ি রায়উইন্ড যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ভারত এবং পাকিস্তানের বিদেশ সচিবদের বৈঠক ১৬ জানুয়ারি হওয়ার কথা। এর আগে আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের উদ্বোধন করেন মোদি। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘শান্তিপ্রতিষ্ঠা করে সমৃদ্ধিশালী এক রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে ভারতকে পাশে পাবে আফগানিস্তান।’ ভারত ও আফগানিস্তান একে অপরের বন্ধু। দু’দেশের বন্ধুত্বের উল্লেখ রয়েছে বলিউডের ফিল্মেও। সেই ইয়ারানা উঠে এল মোদির ভাষণে। আফগানিস্তানের পার্লামেন্টে বক্তব্য পেশ করার সময় মোদি গুনগুন করলেন ‘জঞ্জির’ ছবির সেই বিখ্যাত কলি ‘ইয়ারি হ্যায় ইমান মেরা, ইয়ার মেরি জিন্দেগি।’ ক্ষণিকের জন্য অনেকেরই চোখে ভেসে উঠল শের খান ও বিজয়ের কিংবদন্তি বন্ধুত্বের ছবি। বন্ধুত্বের পাশাপাশি শান্তিপ্রতিষ্ঠার কথাও ছিল মোদির ভাষণে। আফগানদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা ‘ব্যালটে হারাতে হবে বুলেটকে’। সামরিক সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন মোদি। মানবতার বধ্যভূমি আফগানিস্তান। গোটা বিশ্ব সেই ভাবেই দেখে আফগানিস্তানকে। মোদি বলেন, ‘আফগানিস্তানের ঘরে ঘরে আশার আলো জ্বলবে। স্কুলে প্রতিটি বাচ্চার মুখে খেলা করবে হাসি। জনপদে চলবে না গুলি। সেখানে প্রতিষ্ঠা হবে শান্তি আর শান্তি।’