ক্ষতির মুখে ৪০ কোটি টাকার মৌসুমি ফসল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মেহেরপুর সদর উপজেলায় দাদপুর স্লুইস গেট বন্ধ থাকায় মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মাঠের উঠতি ফসল পানিতে ডুবে গেছে। এ পানি নিষ্কাশনে কোনো ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা। নষ্ট হবে হাজার হাজার বিঘা জমির উঠতি ফসল।

এলাকাবাসী জানান- গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে গাংনী উপজেলার সাহারবাটি, গাড়াডোব, কসবা-ভাটপাড়া, সদর উপজেলার দরবেশপুর, সিংহাটি, চুয়াডাঙ্গা জেলার  গোকুলখালীসহ এলাকার পানি কাজলা নদী দিয়ে ভৈরব নদ দাদপুর বিল ও বিল সংলগ্ন বিভিন্ন মাঠে জমেছে। স্লুইস গেটটি খুলে না দেয়ায় পানির চাপ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গোপালপুর গ্রামের কৃষক লিয়াকত আলী জানান- গোপালপুর গ্রামের মাঠে মৌসুমে তিনি ৮ বিঘা জমিতে ধান, ৬ বিঘা জমিতে পাট, এক বিঘা জমিতে সিম ও ১০ কাঠা জমিতে ঝাল চাষ করেছেন।

তিনি বলেন, আর দুই-চার দিন ফসল পানির নিচে থাকলে তাকে এ মৌসুমে কমপক্ষে ৪ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

গোপালপুর মাঠে একই গ্রামের স্বপন মাস্টার আড়াই বিঘা জমিতে ধান, আতিরুল আড়াই বিঘা জমিতে সিম, মিজানুর ২ বিঘা জমিতে ধান, এক বিঘা জমিতে পাট ও এক বিঘা জমিতে সিম, কামরুল এক বিঘা জমিতে ধান ও ৪ বিঘা জমিতে পাট, তাইজুল ২ বিঘা জমিতে ধান, এক বিঘা জমিতে সিম ও এক বিঘা জমিতে ঝাল এবং মতিন খন্দকার ও তাদের অন্যান্য ভাইরা ১০ বিঘা জমিতে ধান, ৩ বিঘা জমিতে পাট, ২ বিঘা জমিতে সিম ও এক বিঘা জমিতে ঝাল চাষ করেছেন। এসব ফসল এখন পানির নিচে। দ্রুত পানি না সরাতে পারলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।

সদর উপজেলার কাঁঠালপোতা গ্রামের আলাই আমিনসহ এলাকার অনেকে বলেন- স্লুইস গেট বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানি ভৈরব নদে নামতে পারছে না। এ কারণে শুধু গোপালপুর মাঠই নয়, পাশাপাশি কাঁঠালপোতা, সোনাপুর, গহরপুর ও বলিয়ারপুর গ্রামের মাঠের মৌসুমি ফসল পানিতে তলিয়ে আছে। পানি না সরলে এসব মাঠের ফসল বাবদ প্রায় ৩০-৪০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

এ ব্যাপারে মেহেরপুর সদরের ইউএনও মাসুদুল আলম বলেন, গোপালপুর মাঠের ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর