অসুস্থ স্বামী ও প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে অর্ধাহারে দিন কাটছে কাকলির

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অসহায় অবস্থায় অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন পাবনার চাটমোহর পৌর শহরের বালুচর মহল্লার কাকলি কুন্ডুর (৩৫) পরিবার। ডায়াবেটিস ও অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত স্বামীর সংসারে একমাত্র উপার্যনক্ষম সদস্য কাকলি কুন্ডু।

কিন্তু করোনারভাইরাসের কারণে এখন সেটাও বন্ধ।

এদিকে অন্ন যোগান দেয়ার চেয়েও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই পরিবারে বসবাসের বিষয়টি।

ঝড়-বৃষ্টি এলে ভাঙ্গাচোরা টিনের ছাপড়া ঘরের এককোণে জড়োসরো হয়ে বসে থাকতে হয় সবাইকে। আর রাতের বেলায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে অন্যের বাড়িতে স্বামী-সন্তান নিয়ে আশ্রয় নেন কাকলি।

দরিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত এই পরিবারটির খোঁজ এখনও কেউ রাখেন না।

রোগে অসুস্থ স্বামী বিজল কুন্ডু ও প্রতিবন্ধী ছেলে বিজয়কে নিয়ে এভাবে সংগ্রাম চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন কাকলি।

রোববার সরেজমিন গিয়ে কাকলি কুন্ডুর পরিবারে সেই চিত্রই দেখা গেল।

তিনি জানান, এক সময় রংমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন স্বামী বিজল কুন্ডু। মেয়ে কণা ও একমাত্র ছেলে বিজয়কে নিয়ে ভালোই চলছিল সংসার। কিন্তু কয়েকবছর আগে হঠাৎ করেই বিজলডায়াবেটিস ও অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসার অভাবে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। কাজ করতে না পারায় বন্ধ হয়ে যায় উপার্জন। এদিকে মেয়েকে ধারদেনা করে বিয়ে দেয়ায় সে ঋণের বোঝাও মাথায় চেপে আছে। তবু এ বাড়ি ও বাড়ি কাজ করে সংসার চালাতেন। করোনার কারণে সেটাও বন্ধ। এখন না খেয়ে মরার উপক্রম।

কান্না জড়িত কণ্ঠে কাকলি বলেন, কাজ পেলে খাবার জোটে, নয়তো স্বামী-সন্তানকে নিয়ে মাঝে মধ্যেই উপোস করে থাকতে হয়। আর্থিক সহযোগিতা ও একটি নতুন ঘরের আশায় কাউন্সিলরের কাছে বহুবার ধর্ণা দিয়েছি কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এখলাছুর রহমানের মোবাইলে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তবে পৌর মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল যুগান্তরকে জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। পৌরসভায় সহযোগিতা পায়নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে খোঁজ নিয়ে অসহায় ওই পরিবারটিকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর