অবশেষে নাগাল্যান্ডে নিষিদ্ধ হলো কুকুরের মাংস

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের পশুপ্রেমীরা দীর্ঘদিন ধরেই চাইছিলেন কুকুরের মাংস বিক্রি বন্ধ করতে। এবার সেই দীর্ঘ আন্দোলনের ফল পেলেন নাগাল্যান্ডের পশুপ্রেমীরা। সম্প্রতি নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি বন্ধ করাই নয়, কুকুরের মাংস খাওয়া এখন থেকে নাগাল্যান্ডে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

শুক্রবার এ প্রসঙ্গে নাগাল্যান্ডের মুখ্যসচিব টেমজেন টয় জানান, কুকুর ও কুকুরের মাংসের রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাগাল্যান্ড সরকার। এর ফলে এখন থেকে রাজ্যে আর কুকুরের মাংস কাঁচা বা রান্না করা অবস্থায় বিক্রি করা যাবে না। এই মাংসের বাজারগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি কুকুরের বাণিজ্যিক রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।

সম্প্রতি নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী রিওয়ের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কুকুরের মাংস বিক্রি বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই কুকুরের মাংস বিক্রি হতো। গত মার্চে নাগাল্যান্ডের প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরামে কুকুরের মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর থেকেই নাগাল্যান্ডে থাকা ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যানিমাল প্রোটেকশন অর্গানাইজেশনের সদস্যরা এই বিষয়ে বারবার নাগাল্যান্ড সরকারের কাছে আবেদন জানাতে থাকে।

বৃহস্পতিবার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যানিমাল প্রোটেকশন অর্গানাইজেশনের কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা ভদ্রা মেরোট্রা এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানান, নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের পশুবাজারের সাম্প্রতিক রূপ দেখে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছি। যে ভাবে সেখানে কুকুর মেরে বিক্রির জন্য ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ ও অমানবিক। সেখানে ২০০ ভারতীয় রুপিতে এক কেজি কুকুরের মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। আর পুরো কুকুর বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ভারতীয় রুপিতে।

শুধুমাত্র মাংস খাওয়ার জন্য এশিয়া জুড়ে প্রতি বছর ৩ কোটি কুকুর ও ১০ কোটি বিড়াল হত্যা করা হয়। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম এবং উত্তর পূর্ব ভারতের বেশিরভাগ অংশে কুকুর ও বিড়ালের মাংস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। তবে, হংকং, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর কুকুরের মাংসের ব্যবসা ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর