প্রশান্তির জন্য মেডিটেশন করুন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। এই সময়ে অনেকেই আছে কোয়ারান্টাইনে। উৎকণ্ঠা আর দুঃশ্চিন্তা সবাইকে যেনো কাবু করেছে। এই সময়ে মন নিয়ন্ত্রণ ও প্রশান্তির জন্য মেডিটেশন করুন।

বাংলাদেশে মননিয়ন্ত্রণ ও মেডিটেশনের পথিকৃত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্ভাবক শহীদ আল বোখারি মহাজাতক সর্বসাধারণকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য এগুলো তুলে ধরা হলো-

কোয়ান্টাম পরিবারের প্রিয় সদস্য, আসসালামু আলাইকুম।

আপনি ইতোমধ্যেই জেনেছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে একটি সমাজসেবামূলক ও সচেতন প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরাও কিছু করণীয় নির্ধারণ করেছি।

নিজে অনুসরণ করুন। এছাড়া ফোন করে/ই-মেইলে বা সম্ভব হলে বাস্তবে যোগাযোগ করে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-সহকর্মী ও পরিচিতদের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দিন। পরম করুণাময় আমাদের সহায় হোন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই, প্রয়োজন সতর্কতা। তাই নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মনোযোগী হোন।

যারা নিয়মিত মেডিটেশন, প্রাণায়াম ও যোগব্যায়াম চর্চা করেন তাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউন সিস্টেম) অনেক বেশি শক্তিশালী। ফলে ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসজনিত রোগের মোকাবেলা করা তাদের জন্য সহজ হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা অবসানেও হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল (১২ মার্চ ২০২০) যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম ও মেডিটেশন করার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রতিদিন দুইবেলা মেডিটেশন ও একবার কোয়ান্টাম ইয়োগা করুন। সুযোগ করে ‘সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন’ অটোসাজেশন চর্চা করুন।

সকালে নাশতার সাথে এক কোষ কাঁচা রসুন ও ২৫/৩০টি কালোজিরার দানা খান।

কোয়ান্টাম খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করুন।

স্রষ্টার রহমতের ছায়ায় থাকুন

সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়ার পরও স্রষ্টা ইচ্ছা করলে যে-কাউকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেন। আসমানি-জমিনি বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পরিবারের সবার নামে সাধ্যমতো জান-ই সদকা দিন। সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে অন্যদেরও এই দানে উদ্বুদ্ধ করুন।

সবাইকে আগে সালাম দিন। প্রতিদিন সকালে ৪০ বার দোয়া ইউনুস ও বেশি বেশি দরুদ পড়ুন।

সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গায়ত্রী মন্ত্র এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বুদ্ধ মন্ত্র পাঠ করুন। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা নিজ ধর্মমতে প্রার্থনা করুন।

নিজের ও পরিজনের সুস্থতা কামনায় নিয়ত করে আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী পাঠ এবং বিতরণ করুন।

সময়কে ভালো কাজে (সৎকর্মে) বিনিয়োগ করুন। আপনার স্বাভাবিক দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখুন।

যতক্ষণ ঘরে থাকতে হচ্ছে, ততক্ষণ টিভি/মোবাইল/ফেসবুক/ইন্টারনেট (ভার্চুয়াল ভাইরাস) ইত্যাদিতে সময় নষ্ট না করে ‘শুদ্ধাচার’ বইটি ভালোভাবে পড়ুন।

নেতিবাচক কথাবার্তা না বলে পারিবারিক একাত্মতা বাড়ান। হাঁচি, কাশি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত শুদ্ধাচার নিজে মেনে চলুন এবং পরিচিতদেরও শুদ্ধাচারী হতে উদ্বুদ্ধ করুন।

পরিচিতদের কাছে ‘শুদ্ধাচার’ বইটি পৌঁছে দিন। আমরা সবাই মিলে যত শুদ্ধাচারী হবো, আসমানি-জমিনি বালা-মুসিবত থেকে তত রক্ষা পাব ইনশাল্লাহ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর