প্রয়োজনে যেকোন জায়গায় শাটডাউন হতে পারে বলে জানিয়েছে তথ্যমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রয়োজন হলে দেশের যেকোন জায়গা শাটডাউন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুর ৩টায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

শাটডাউন করার পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ একনেক সভায় করোনা ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী-সচিবরা কি করণীয় সে বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন। আর শাটডাউনের বিষয়ে অবস্থার প্রেক্ষিতে যেকোন ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এ মুহূর্তে কোথাও শাট ডাউনের সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রয়োজন হলে সেটি যেকোন জায়গায় হতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ব্যাপক প্রবাসী চলে এসেছেন, শত শত হাজিরও আছে। তারা এসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের মধ্যে কারো যদি করোনা থাকে তাহলে তো সংক্রমন হবে। এ সমস্ত ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। তবে আজকের একনেকের বৈঠকে এগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

ফেসবুকে গুজব ছাড়নোর বিষয়ে তিনি বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ জানাবো কেউ এ নিয়ে গুজব ছড়াবেন না। গুজব ছড়ানো হয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতলের চারজন ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন, এটি পুরোপুরি গুজব। গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী করলে সরকার আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, যেখানে করোনার উৎপত্তি সেই চায়না এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। আমাদের দেশেও সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ১ কোটির বেশি মানুষ বিদেশে থাকে। ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে আমাদের অনেক নাগরিক থাকে। অনেকে করোনার কারণে দেশে এসেছেন, অনেকে এসে কোয়ারেন্টাইন মানেনি। তাই সরকার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। মুজিবর্ষের সব প্রস্তুতি থাকলেও অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। আমাদের দলীয় সভা-সমাবেশ বাতিল করেছে। আজ অভিনয় শিল্পী-নির্মাতাদের সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দও তাদের কর্মবিরতির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

এসময় নাট্যনির্মাতা মামুনুর রশীদ বলেন, করোনার কারণে অনেকেই কর্মবিরতিতে যাচ্ছে। আমাদের নির্মাতা ও শিল্পীদের ১৩টি সংগঠন সঙ্গে আছে। কবে থেকে আমরা কর্মবিরতিতে যাবো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। ২২ তারিখ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কর্মবিরতির কথা ভাবছি। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর