খেলা নেই কী করবেন ক্রিকেটাররা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিরপুর শেরেবাংলা মাঠের মূল ফটকে প্রবেশ করতেই এগিয়ে এলেন নিরাপত্তারক্ষী। তার হাতে দেখা গেল ‘হ্যাক্সিসল’। সবাইকেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ঢোকানো হচ্ছে মাঠে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদর দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিও বাদ যাচ্ছেন না এই প্রক্রিয়া থেকে। এই মুহূর্তে সব ধরনের খেলা বন্ধ। তবুও জাতীয় দল ছাড়াও বেশ কিছু ক্রিকেটার আসছেন একাডেমির মাঠে ও জিমে। কারণ মাত্র এক রাউন্ডের জন্য লীগ স্থগিত করা হয়েছে। নিজেদের ফিট তো রাখতে হবে।

তবে তারাও আছেন ছুটির অপেক্ষায়। দেশসেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে দেখা গেল ছুটির খবর নিতে। লীগের অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধের ঘোষণা আসেনি। তাই ঢাকা ছাড়তে পারছেন না ক্রিকেটাররা। ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের মধ্যেও নিরাপদে থাকার তারণা কাজ করছে। আছেন নানা শঙ্কাতেও। খেলা বন্ধ হয়ে তাদের আয় রোজগারেও বড় প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে যেসব ক্রিকেটার শুধু ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ খেলে রুটি-রুজি চালান তাদের মধ্যে আতঙ্কটাও বেশি। শুধু তাই নয়, নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখার বড় চ্যালেঞ্জ আসবে তাদের সামনে। তবে এই বিপর্যয়ে নিজেদের জীবন বাঁচানোটাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন তারা। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার জন্যও অনুরোধ করছেন বিশেষ ভাবে। আজ অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা লীগ স্থগিত হওয়ার ঘোষণা আসতে পরে বলে জানা গেছে বিসিবির বিভিন্ন সূত্রে।

আগে জীবন পরে ক্রিকেট -মেহেদী হাসান মিরাজ
করোনা আতঙ্ক নিয়ে জাতীয় দলের অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আগে জীবন পরে খেলা। আমি দেশবাসীর কাছে একটাই অনুরোধ করবো পাক-পবিত্র থাকার চেষ্টা করেন। যারা মুসলমান তাদের বলবো নামাজ পড়েন। কারণ তার জন্য আপনাদের অযু করতে হবে বারবার। তখন হাতও শরীরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে।’ জাতীয় দলের তরুণ এই ক্রিকেটার তার জীবনে এমনটা দেখেননি যে ক্রিকেট থেকে শুরু করে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। মিরাজ বলেন, ‘ আমি আমার লাইফে এরকম কখনো দেখিনি যে, পৃথিবী বন্ধ হয়ে গেছে এমনকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর সব মানুষ আতঙ্কের ভেতরে আছে, এটা অস্বস্তিকর। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ যেখানে সেখানে থুতু ফেলবেন না।’ খেলা বন্ধ হলে কী করবেন তা নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আসলে সবাই একটু আতঙ্কের মধ্যে আছে। একটা মানুষের সঙ্গে দেখা হলে তো আমাদের স্বাভাবিক আচরণ যেটা হ্যান্ডশেক করা জড়িয়ে ধরা, এই জিনিসটা এখন হচ্ছে না। আর ফিটনেস ধরে রাখতে নিজেদের একা একাই কিছু কাজ করতে হবে। যতটুকু সম্ভব নিজেদের সুরক্ষায় রেখেই বাকি সব করতে হবে।’

যতটা সম্ভব ঘরে থাকতে মোস্তাফিজের অনুরোধ
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ বন্ধ হলেই যেন বাঁচেন জাতীয় দলের সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তাহলে ছুটিতে চলে যাবেন সাতক্ষীরায় নিজের গ্রামের বাড়িতে। করোনা সতর্কতায় খুব একটা বাসা থেকে বের হন না তিনি। মাঠে এলেও বেশ সতর্ক থাকছেন। দেশবাসীর কাছেও তার অনুরোধ, এই বিপদ থেকে বাঁচতে যেন খুব একটা বাসা থেকে না বের হয় কেউ। মোস্তাফিজ বলেন, ‘আমরা (করোনাভাইরাস) খবরগুলো দেখছি। অনেকেই অনেক কথা বলছে; হাত ধোয়া, মুখ পরিষ্কার করা, বাইরে একটু কম বের হওয়া।’

অন্যদিকে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে নানা ক্ষতির মুখেও আছেন ক্রিকেটাররা। এরপরও নিজেদের ফিট রাখতে চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন মোস্তাফিজ। তিনি বলেন, এখন তো কিছু করার নাই। সবাই বিপদে আছে। এসময় চেষ্টা করবো নিজে নিজে (ফিটনেস নিয়ে) কিছু কাজ করা যায় কি না। এখন তো আর বোলিং করা সম্ভব না। রানিং আর কিছু ওয়ার্কআউট আছে এগুলো চেষ্টা করবো।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর