করোনার থাবা পাক সেনাবাহিনীতে, আতঙ্কে চাকরি ছাড়তে চান অনেকে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীতেও করোনার থাবা। জানা গিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ৮ পাক সেনাকর্তা মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করেছে সেনাবাহিনী। করোনা আতঙ্কে এবার কাজে যোগ দিতেই অনীহা দেখাচ্ছেন পাক সেনার একাংশ।

বেজায় অস্বস্তিতে পাকিস্তানের সেনাকার্তারা। পাক সেনাবাহিনীর ৮ কর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারণ করোনা থাবা বসাতেই আতঙ্কে ভুগছে পাক সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত ওই সেনাকর্তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তাঁদের কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। সবাইকে সেনা হাসপাতালে আলাদা কেবিনে রাখা হয়েছে।

পাক সেনাবাহিনীর আট কর্তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত সেনাকর্তাদের মধ্যে তিনজন লেফটেন‌্যান্ট কর্নেল, দু’জন ব্রিগেডিয়ার, একজন মেজর জেনারেল। শুধু এরাই নন। জানা গিয়েছে, পাক সেনার আরও বেশ কয়েকজন সেনাকর্তার মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাঁদেরও কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীর মধ্যে মারণ করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো উদ্বেগে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই একাধিক সতর্কতামূল ব্যবস্থা নিয়েছে পাক সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ‌্যা ২৮। দেশের লক্ষাধিক বাসিন্দার বাসিন্দার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিদেশ থেকে পাকিস্তানে আসা প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করেছে পাকিস্তান সরকার। জানা গিয়েছে, যে ৮ পাক সেনা করোনায় আক্রান্ত তাঁরা প্রত্যেকেই বিদেশ থেকে কিছুদিন আগেই পাকিস্তানে এসেছেন। তাঁদের কেউ মক্কায় বেড়াতে গিয়েছিলেন কেউ আবার ইউরোপের দেশগুলিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন।

এদিকে, সেনাবাহিনীর ৮ কর্তার করোনা সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন সেনাবাহিনীর বাকি সদস্যরা। জানা গিয়েছে, বহু পাক সেনা নাকি ডিউটিতে যেতেও নাকি অনীহা প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তানের সেনা-শহর বলে পরিচিত রাওয়ালপিণ্ডি-সহ দেশের একাধিক সেনা ছাউড়িনেত ডিউটিতে যেতে চাইছেন না শতাধিক পাক সেনা। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪।

পাক সেনাদের একটি বড় অংশ মাস্ক, গ্লাভসের আবেদন জানিয়েছেন। এমনকী মারণ করোনার সংক্রমণ রুখতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ না করলে কাজ ছাড়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেশ কয়েকজন পাক সেনা। অন্যদিকে, করোনা নিয়ে সেনাবাহিনীতে ক্ষোভ ও আতঙ্কের খবর পেয়েছেন পাক প্রশাসনের শীর্ষকর্তারাও। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে কথা শুরু করেছেন ইমরান খান প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের বুঝিয়ে সেনাবাহিনীতে ক্ষোভ কমানোর চেষ্টা চলছে প্রতিনিয়ত।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর