এক গাছেই এক বন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের বেশ শুষ্ক একটি অঞ্চলে থিমাম্মা মারিমানু নামে বেড়ে ওঠা একটি গাছের আয়তন এত বড় যে সেটিকে দেখলে মনে হয় একটি বন। গাছটি এখনো বেড়ে উঠছে এবং শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে চলেছে। অদ্ভুত সেই গাছ নিয়ে লিখেছেন আরফাতুন নাবিলা 

তীর্থযাত্রার স্থান

বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের জন্য ভারত বেশ দর্শনীয় একটি স্থান। তবু অন্যান্য জায়গার সঙ্গে তুলনা করলে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের অন্ধ্রপ্রদেশ হয়তো কিছুটা পিছিয়েই আছে। এখানে বিদেশিদের চেয়ে দেশীয় মানুষের আনাগোনাই বেশি। প্রতি বছর কয়েক লাখ মানুষ এখানে আসা-যাওয়া করে। অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপাতি নামক শহরে আছে বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী মন্দির। এই মন্দিরটি হিন্দু তীর্থযাত্রীদের কাছে খুবই পবিত্র। সারা বছরই কমবেশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এখানে যাওয়া-আসা থাকে। তিরুপাতিতে তীর্থ শেষে তীর্থযাত্রীরা ঘুরে বেড়ায় রাজ্যটির দক্ষিণাঞ্চলের দিকে। অনেকেই চলে যায় সাঁইবাবার বাড়ি পুত্রপাঠি শহরে। দেখার মতো আরও আছে, লেপাক্সি গ্রামের একটি মন্দির যেখানে একটি পাথরের পিলার সিলিং থেকে ঝোলানো অবস্থায় আছে, কাদিরি শহরের শ্রী লক্ষ্মী নরসিংহ মন্দির যেখানে দর্শনের চর্চা করা হয়। পবিত্র এসব স্থানকে ছাপিয়ে যে জায়গাটি নিয়ে তীর্থযাত্রীদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি সেটি হচ্ছে কাদিরির ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অনিন্দ্য সুন্দর বনের মতো একটি স্থান। অনেকখানি জায়গা জুড়ে রয়েছে থিমাম্মা মারিমানু নামে একটি গাছ। গাছের এই জায়গাটি স্থান পেয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও।

থিমাম্মা মারিমানু

ভারতের বেশ শুষ্ক একটি অঞ্চলের নাম অনন্তপুর। এই জায়গায় আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও একমাত্র বট গাছের ছাউনি। ১৯৮৯ সালে গাছটি প্রথম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পায়। গাছটি প্রায় ৫৫০ বছর পুরনো। পুরো পাঁচ একর জায়গা জুড়ে ৮৪৬ মিটার পরিধি নিয়ে গাছটি দাঁড়িয়ে আছে।

কীভাবে পরিচিতি তৈরি হলো

বিশ্ব স্বীকৃতি পাওয়া এই গাছটি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন সত্যনারায়ণ আইয়ার নামে একজন সাংবাদিক। ১৯৮৯ সালে তিনি থিমাম্মা মারিমানু আবিষ্কার করলেও সঠিক ছবি এবং প্রমাণাদি না থাকায় অনেকেই তার কথা বিশ্বাস করেনি। তিনি রীতিমতো গুজব ছড়াচ্ছেন এমন কথাও তাকে শুনতে হয়েছে। তাই আবার সে জায়গায় গিয়ে তিনি ছবি তোলেন এবং পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ফেরেন। এরপর থেকেই পুরো বিশ্ব জানে, অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল বটগাছের অস্তিত্ব আছে।

২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ‘আউটরিচ ইকোলজি’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাছ কোন কোন এলাকায় আছে সেটি নিয়ে একটি জরিপ করে। সে জরিপে জানা যায়, ভারতেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাতটি বট গাছের অস্তিত্ব আছে। তারা আরও নিশ্চিত করে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাছ থিমাম্মা মারিমানু এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। স্থানীয় বন বিভাগের মতে, গাছটি ছড়িয়ে আছে আট একর এলাকাজুড়ে এবং গাছটির বয়স ৬৬০ বছর। সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণের পর অবশ্য গাছটির ছড়িয়ে থাকার সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়।

ছড়িয়ে থাকা গাছের শেকড়

ভারতীয়রা বটগাছকে ভারতীয় বট বা বট ডুমুরও বলে। গাছটি মূলত তুঁত পরিবারভুক্ত। ভারতীয় উপমহাদেশের আদিবাসীদের অঞ্চলে এই গাছ দেখা যায়। গাছটিকে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি গাছ। চারপাশে এর ডালপালা, শেকড় এমনভাবে ছড়িয়ে আছে যেন দেখে মনে হয় এটি একটি ম্যানগ্রোভ বন। গাছটি এক রকম প্যাঁচানো প্রকৃতির। পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ হিসেবে গাছের জীবন শুরু হয় অর্থাৎ একটি গাছ যা অন্য গাছের ওপর ভর করে বেঁচে ওঠে। প্রথমে অন্যান্য গাছের শাখায় এই গাছের বীজ জুড়ে দেওয়া হয়, এরপর সেই গাছের শাখা-প্রশাখাগুলো শেকড়ের মতো ছড়িয়ে যায়। ছড়িয়ে যাওয়া  শেকড়গুলো পাশের গাছের ওপর পানি ও পুষ্টির জন্য নির্ভর করে, এভাবে সেগুলো মোটা হতে হতে একেকটা দেখতে গাছের গুঁড়ির মতো দেখায়। বটগাছ ততক্ষণ পর্যন্ত বড় হতে থাকে যতক্ষণ এটি মাটির স্পর্শ পায়।

থিমাম্মা মারিমানুর প্রায় ৪০০০ এরও বেশি শেকড় আছে যা একে এত বৃহৎ হতে সহায়তা করেছে। বহু শতাব্দী ধরে গাছটি নানা ঘূর্ণিঝড় ও খরা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছের শেকড়গুলো এত বড় যে আশপাশে বিভিন্ন জায়গায় সেগুলো ছড়িয়ে পড়েছে, কিছু শেকড় ভেঙে গেছে। কিন্তু তারপরও গাছটি বড় হচ্ছে। গাছটি যেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ বেড়ে উঠছে তার পাশে কয়েকটি ছোট ছোট পাহাড় আছে, যেখান দিয়েই পানি আর সূর্যের আলো পর্যাপ্ত আসে, যার কারণে গাছটি আরও বড় হওয়ার সুযোগ পায়।

জাতীয় গাছ

থিমাম্মা মারিমানুকে ভারতের জাতীয় গাছ বলা হয়। হিন্দু শাস্ত্রমতে, গাছটির ক্রমান্বয় বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন প্রাণের সঞ্চার অনন্ত জীবনের প্রতীক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছটি বিশ্বের অন্যতম উর্বর, জীবন এবং নবজীবনের প্রতীক হয়ে উঠছে। হিন্দু, বৌদ্ধ এমনকি অন্য ধর্মাবলম্বীরাও একবার দেখতে এসে গাছের শাখায় শাখায় ফিতা বেঁধে যায়। ছড়িয়ে থাকা শেকড়ের বেশ কয়েক জায়গায় ছোট ছোট মন্দিরের মতো তৈরি করা হয়েছে। সেখানেও অনেকে আশীর্বাদ নিতে আসে। জায়গাটি এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সুপরিচিত হয়ে উঠেছে। বলা হয়, হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতের অংশ প্রাচীন সংস্কৃত ধর্মগ্রন্থ গীতাতে এই বটগাছের কথা বলা আছে। সেখানে গাছটির ‘ওপরের দিকের  শেকড় ও নিম্নমুখী শাখা’কে আধ্যাত্মিক জগতের প্রতিবিম্ব মনে করা হয়। ভারতের অন্যান্য জায়গায় যেখানে মন্দিরের উঠোনে গাছ বেড়ে ওঠে, সেখানে এই একটি গাছ পুরো মন্দিরকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে।

বিশ্বাসের জন্ম

ভগবৎ গীতাতে সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও, থিমাম্মা মারিমানু নিয়ে গল্প তৈরি হয়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে, থিমাম্মা নামের একজন নারী ১৪৩৩ সালে এই বটগাছের নিচে বসে সাতী (স্বামীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সঙ্গে বিধবাদের নিজেকে অগ্নিসংযোগ করা) পালন করেছিলেন। কিংবদন্তি অনুসারে, সেই মহিলার স্বামী কুষ্ঠরোগে মারা যান এবং তাকে হারানোর শোক সইতে না পেরে অনুগত স্ত্রী ভালোবাসা হিসেবে নিজেও জীবন দেন। প্রচলিত আছে, থিমাম্মার চিতা যে জায়গায় জ্বলেছিল সেখানেই গাছটির জন্ম হয় বলে থিমাম্মাই পরজন্মে গাছ হয়ে জন্ম নিয়েছেন বলে বিশ^াস করা হয়। অনেকেই বিশ্বাস করে, গাছটির রহস্যময় কিছু শক্তি আছে। নিঃসন্তান দম্পতিদের নিজ উর্বরতার ক্ষমতা দিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার আশীর্বাদ দেয় গাছটি। থিমাম্মা মারিমানুর ট্যুর গাইড অনিল কুমার বলেন, স্থানীয়রা দৃঢ় মনে বিশ্বাস করেন, নিঃসন্তান দম্পতিরা যদি জাফরান রঙের ফিতা বেঁধে এ গাছের শাখায় লাগিয়ে যায়, তবে এক বছরের মধ্যে তাদের সংসারে সন্তান জন্মের সুখবর আসে।

প্রাচীন ক্রিয়াকলাপ

বটগাছটির আশপাশে আসামাত্র তীর্থযাত্রীরা পায়ের জুতো খুলে ফেলে। বটগাছটির কেন্দ্রে থিমাম্মাকে স্মরণ করে একটি সমাধি বানানো হয়েছে। সেই সমাধির গেটে একটি ষাঁড় দেবতা আছে। থিমাম্মার সমাধি উৎসর্গ করা হয়েছে ধ্বংস ও পুনর্জন্মের ভগবান শিবের নামে। তীর্থযাত্রীদের এই গাছের কাছে আসতে হলে শুরুতে খালি পায়ে পাড়ি দিতে হয় ধুলোময় কিছু পথ। তারা ভেতরে প্রবেশের আগে ষাঁড় দেবতাকে প্রণাম করেন। থিমাম্মা এবং তার স্বামীকে স্মরণ করে বানানো মন্দিরে এরপর সবাই পূজা দিতে যায়। পূজার থালে সাজানো থাকে নারিকেল ও মসলাসহ নানা কিছু।

সমাধির আগে, থিমাম্মার আদলে কালো পাথরের একটি মূর্তি বানানো আছে। একজন পুরোহিত সব সময় সেখানে থাকেন। তীর্থযাত্রীরা একটি মোমবাতি লাগিয়ে পুরোহিতের কাছ থেকে আগে আশীর্বাদ নেন। এরপর সমাধিতে যেতে হয়। স্থানীয় ট্যুর গাইডের কাছে দেবী থিমাম্মার বলিদানের গল্প শুনতে শুনতে তীর্থযাত্রীরা পুরো সমাধিটি বাম থেকে ডান দিকে পাঁচবার চক্কর দেয়। ডান দিকে ঘোরা বলতে বোঝায় জীবনে সঠিক পথে আসা। ২০০১ সালে, গাছটির মধ্যখানে পুরনো চুড়ি এবং বেশ কিছু গহনা পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর থেকে থিমাম্মার অস্তিত্বের বিশ্বাসটি আরও স্থায়ী হয়। পরে তিরুপাতির কয়েকজন কর্মকর্তা এবং পুরোহিতদের নির্দেশ দেওয়া হয় ঠিক সে জায়গায় যেন মন্দির বানানো হয়। বর্তমানে থিমাম্মা মারিমানু মন্দির কমপ্লেক্সটি পুরনো জায়গায় একদম নতুন একটি সংযোজন।

অনুশোচনার স্থান

থিমাম্মা মারিমানু ছাড়াও গাছটিকে ঘিরে আরও অনেক গল্প প্রচলিত আছে। যেমন-এই জায়গায় কাছের পাহাড়ের গোড়ায় একটি সাদা মন্দির আছে যেখানে ভগবান শিব অনুশোচনার তপস্যা এবং উপাসনা করছেন। স্থানীয়রা আরও মনে করেন, বিশাল বটগাছের ওপর ভগবান বিষ্ণু বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। অনেকের মতে, যুগে যুগে অসংখ্য মানুষ এবং পুরোহিত এই জায়গায় পূজা করেছেন যার কারণে গাছটিতে ইতিবাচক শক্তি তৈরি হয়েছে যা তাকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। প্রতি বছর, ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে মহাশিবরাত্রিতে চারদিন এই গাছের নিচে নানা পূজা ও প্রার্থনা হয়।

গাছের সুস্থ করার ক্ষমতা

তীর্থযাত্রীদের মতে, গাছকে সামনাসামনি দেখতে পেলে শরীর, মন ও আত্মায় এক ধরনের ইতিবাচক শক্তি তৈরি হয়। অনেকেই মন্ত্র পাঠ করতে করতে ১০ মিনিট সময় নিয়ে গাছের মূল শেকড়কে আলিঙ্গন করেন। গাছের সুস্থ করার ক্ষমতা আছে এ কথা সম্ভবত যতটুকু দেখা যায় তার চেয়ে অনেক বেশি। পৃথিবীতে পরিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নেওয়া যায় এই গাছের কারণেই, যা ছাড়া এক মুহূর্তও আমরা বাঁচতে পারতাম না। এমনকি বেশ কয়েক ধরনের ওষুধও তৈরি হয় গাছ থেকে। যেমন-এস্পিরিন তৈরি হয় উইলো নামের গাছের বাকল থেকে, ত্বকের ইনফেকশনের জন্য সহায়ক মেলালিউকা তেল (চা গাছের তেল) আসে অস্ট্রেলিয়ান এক ধরনের চা গাছ থেকে। ব্লাড প্রেশার এবং দুশ্চিন্তা কমাতে প্রকৃতি যে দারুণ সহায়ক সে তথ্য পাওয়া গেছে গবেষণা করেও। জাপান তো ইতিমধ্যে সুস্থ থাকার জন্য বনে গোসল (ফরেস্ট বাথিং) পদ্ধতিও চালু করেছে।

বন্ধুদের থেকে সাহায্য

থিমাম্মা মারিমানু থেকে পাওয়া উপকার যেমন আশীর্বাদ, তেমন অভিশাপও বটে। বেশ কয়েকজন পর্যটক এসে একবার এই গাছের এতদিনের টিকে থাকার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। একবার বার্ষিক উৎসবে একসঙ্গে অনেক মানুষ আসায় গাছের বেশ কয়েকটি শেকড়ের ক্ষতি হয়। এই ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছিল কয়েকজন মানুষ। স্থানীয় বন বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা এসে জায়গাটি দেখে নতুন করে সেটিকে শক্তিশালী এবং শেকড়ের আরও ছড়ানোর জন্য ফাঁকা বাঁশের খুঁটি দিয়ে মাটিতে যুক্ত করে দেন। ক্ষতিগ্রস্ত ডালপালাগুলোর আশপাশে পাথর দেওয়া হয়। মানুষের সাহায্য ছাড়া এই গাছটিকে টিকে থাকতে সহায়তা করেছে এক ধরনের পোকা। ভিমরুল জাতীয় পোকাদের ডিম পাড়ার জন্য থিমাম্মা মারিমানুসহ সব বট বা ডুমুর গাছের প্রয়োজন হয়। এই পোকাগুলোর কারণে গাছটিও সজীব হয়ে উঠছে এবং আরও বড় হচ্ছে।

নিখুঁত সম্প্রীতি

ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যস্ত শহর ব্যাঙ্গালুরুর ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে থিমাম্মা মারিমানুর মতো গাছ থাকতে পারে এমনটি আসলে বিশ্বাস করা কঠিন। শহরের সমস্ত তাড়াহুড়ো-ছুটোছুটিকে পেছনে ফেলে এই জায়গায় এলে শোনা যায় টিয়া-ঘুঘুসহ অসংখ্য পাখির কলকাকলি, গাছের এক ডাল থেকে অন্য ডালে পাতি শেয়ালের ছুটোছুটি, দেখা যায় মন্দিরের ছাদ থেকে বানরের খাবারের জন্য হাত পেতে থাকার দৃশ্য। এই এলাকায় নানারকম প্রাণীর অবস্থান নিয়েও কথা প্রচলিত আছে। যেমন- পাখিরা রাতে গাছে ঘুমায় না, গাছের আচ্ছাদনে থাকা কোনো মানুষকে সাপ কখনো কামড়ায় না।

থিমাম্মা মারিমানু গল্প হোক অথবা সত্যি, গাছটি সত্যি উর্বরতা, জীবন এবং নবজীবনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনেক মানুষের আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে এটি। গাছটি যেহেতু এখনো বড় হচ্ছে, ধারণা করা যায় পরের আরও কয়েক প্রজন্ম থিমাম্মার আশীর্বাদ পাবে।

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর