১০০ কিলোমিটার দূরে থেকেই বেতন নিচ্ছেন শিক্ষিকা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নীতিমালা উপেক্ষা করে ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে বছরের পর বছর বেতন-ভাতা ভোগ করছেন এক শিক্ষিকা। এ অভিযোগ উঠেছে খুলনার দৌলাতপুরের যোগীপোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আসমা আক্তারের বিরুদ্ধে। কর্মক্ষেত্র খুলনায় হলেও বাগেরহাটের শরণখোলার ডিভিপাড় বিদ্যালয়ের হয়ে আসমা নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন।

শরণখোলার রাজৈর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইসমাইল আকনের মেয়ে আসমা আক্তার। ২০১০ সালে খুরিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে যোগ দেন তিনি। পরে বদলি হন একই উপজেলার ডিভিপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ২০১৬ সালে কিছুদিনের জন্য ডেপুটেশনে খুলনায় চলে যান । তখন থেকে চার বছর ধরে খুলনার দৌলতপুরের যোগীপোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছেন আসমা আক্তার।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন ,নীতি অনুসারে কোনো স্কুলে শিক্ষক সংকট থাকলে আপদকালীন সময়ের জন্য  (ডেপুটেশনে) একজন শিক্ষক তিন থেকে ছয় মাস থাকতে পারবেন। এক বছর হলে তা বাতিল হয়ে যায় । এরপরও কেউ থাকলে তাহলে শিক্ষানীতির প্রতি বৃদ্বাঙ্গুলী প্রদর্শন করা হবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান বলেন, শুনেছি  শিক্ষিকা আসমা ডেপুটেশনে আছেন ।  তবে, চার বছর ডেপুটেশনে থাকা নৈতিক কি না, তা  অফিসের স্যারেরা ভালো জানেন ।

এ বিষয়ে আসমা আক্তার বলেন, আমি নিয়মনীতি অনুযায়ী খুলনায় আছি। এছাড়া বদলির জন্য চেষ্টা চলছে। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে হয়ে যাবে ।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর