দেশ চলতে থাকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও নির্দেশে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর সারাদেশের পরিস্থিতি বদলে যায়। ঢাকাসহ সারাদেশে চলতে থাকে অসহযোগ আন্দোলন। হাইকোর্টের বিচারপতি থেকে সাধারণ মানুষ এতে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেয়। সারাদেশ চলতে থাকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও নির্দেশে।

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সিনেমা হলগুলোতে পাকিস্তানি পতাকা প্রদর্শন ও পাকিস্তানি জাতীয় সংগীত পরিবেশন বন্ধ রাখে সিনেমা হল মালিকরা। সিনেমা হল মালিকরা সিনেমা কর না দেয়ার নির্দেশও মেনে নেয় স্বেচ্ছায়।

হাইকোর্ট থেকে সাধারণ মানুষ সবই চলতে থাকে বঙ্গবন্ধুর কথায়। মুক্তি প্রত্যাশী মানুষের ঘৃণা আর প্রতিবাদের মুখে সেনাবাহিনী ব্যারাকে আশ্রয় নেয় এ দিন।

৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বেতার কর্মীদের আন্দোলনের মুখে পরদিন সকাল সাড়ে ৮টায় দেশের সব বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার করা হয়। যা সারাদেশের মুক্তিপাগল মানুষকে আরো উজ্জীবিত করে।

এ দিন ইয়াহিয়া নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে এই বলে বার্তা পাঠান, আপনি যা কিছু চেয়েছেন তার চেয়ে বেশি কিছু দিতে আমার আপত্তি নেই। আমি অচিরেই ঢাকায় আসছি, তখন বিস্তারিত আলোচনা হবে।

এ দিন নূরুল আমিন ও খান এ সবুর এক বিবৃতিতে অবিলম্বে আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান।

পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’ না লিখে শুধু ‘ছাত্রলীগ’ লেখার সিদ্ধান্ত নেয়।

বঙ্গবন্ধু জনগণের মনে যে আগুন জ্বেলে দিলেন সে আগুন শুধু সামনেই ছুটে চলল। অসত্যের আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে জয় সুনিশ্চিত জেনে সব শ্রেণি পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এলো অপশক্তির বিরুদ্ধে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর