এক বাড়িতে ২০টি মৌচাক

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভালো পরিবেশে বাসস্থান নির্মাণ ও বসবাসের প্রবণতা কীটপতঙ্গ ও পাখিদের মধ্যেও দেখা যায়। এমনি অবস্থা দেখা গেছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলাধীন কড়ইয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানিক মেম্বারের বাড়িতে মৌমাছিদের অবস্থান নিয়ে। বর্তমানে তার বাড়িতে রয়েছে ২০টি মৌচাক। এর মধ্যে ১৪টি বাসভবনে ও ছয়টি গাছগাছড়ায়। মৌমাছিকে নিয়ে কেউ আতঙ্কিত হচ্ছেন না।

আমের মুকুল, সরিষার ফুল, শাপলাসহ বিভিন্ন ফুল ফোটার সময় মৌমাছিরা বাসা বাঁধতে শুরু করে। ফুল ফোটার সময়কাল শেষ হয়ে গেলে মৌমাছিরা মানিক মেম্বারের বাড়ি ত্যাগ করে। আবার ফুল ফোটার সময় হলে এসব মৌমাছিরা ঝাঁকে ঝাঁকে ফিরে আসে।

মানিক মেম্বারের পিতা হাজি বাচ্চু মিয়া জানান, ২৫/২৬ বছর ধরে মৌমাছিরা আমার বাড়িতে বাসা বাঁধে। প্রতি অমাবশ্যায় পেশাদারি মধু আহরণকারী দিয়ে বাসা ভেঙে মধু সংগ্রহ করি। এই মধু দ্বারা মেহমানদারি করি ও গরিব অসহায়দের মধ্যে সদকা হিসেবে দান করি।

মানিক মেম্বার বলেন, মৌমাছির চাষ নিয়ে আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, প্রশিক্ষণ পেলে আরো বেশি মধু আহরণে সক্ষম হব।

মানিক মেম্বারের দরিয়াহয়াতপুর গ্রামের হাজি সোলেমান, মো. সেলিম ও সোহেল রানাসহ আরো অনেকে জানান, মানিক মেম্বারের বাড়ির বাসা ভাঙা খাঁটি মধু পান করে তৃপ্তি পাওয়ার কথা।

কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোফায়েল হোসেন বলেন, মানিক মেম্বারের বাড়ির মৌমাছিরা বন্য মৌমাছি। এরা খুব হিংস্র হওয়া সত্ত্বেও বিরক্ত না করলে কাউকে কামড়ায় না। আমি শিগগির মৌমাছিগুলো সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেব।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর