বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাণিজ্য ও কাস্টমস সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’-এ বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টিকফা সভায় এমন আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) পঞ্চম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বাংলাদেশের পক্ষে ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর উদ্দীন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ’র (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টোফার উইলসন ও  ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহত্তম রফতানি বাজার এবং অন্যতম বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সহযোগী। গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্জিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে তিনি সরকারের রফতানিবান্ধব বাণিজ্যনীতি, বাজার নির্ভর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বিশেষভাবে উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধি টিকফার উদ্দেশ্য হলেও এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশের বেসরকারি খাত পঞ্চম টিকফা সভার অগ্রগতির বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টিকফা বৈঠকে তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশি পণ্যের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার হ্রাস, জিএসপি সুবিধা পুনরায় প্রবর্তন, বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করা হয়। এ ছাড়া সভায় বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা বিবেচনার দাবি করলে ইউএসটিআর-এর প্রতিনিধিদলের নেতা রাজনৈতিক, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিধি-বিধানের বিষয়ে উল্লেখ করেন। তারা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আশ্বাস দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে হতে মেধাস্বত্ব (আইপিআর), ডিজিটাল ট্রেড (ক্রস বর্ডার ডেটা ফ্লো), টেকনোলজি ট্রান্সফার বিষয়ে বাংলাদেশে বিদ্যমান বিধি-বিধান ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর