হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, স্বাধীনতার আগে পূর্ব পাকিস্তানকে অধিকতর শোষণ করে এদেশের সকল সুযোগ সুবিধা চলে যেত পশ্চিম পাকিস্তানে। একইভাবে এখন ভারতের যতো ক্ষতিকর প্রকল্প আছে তা যৌথভাবে করছে ভারত। কিন্তু সমস্ত সুযোগ-সুবিধা চলে যাবে ভারত।
এই জায়গায় মনে হয় চিন্তা-ভাবনার সময় এসেছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, রামপালের প্রকল্প নির্মাতা ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি তাদের নিজ দেশ ভারতে সকল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থগিত করেছে। তারা কাদের কার্বন তৈরির দায় কমাতে চায়। কিন্তু তার বদলে তারা গুজরাটে বিশ্বের বৃহত্তম সৌর শক্তি পার্ক স্থাপনের জন্য ২৫ হাজার কোপি রুপি বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তারা কয়েকটি রাজ্যের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র অর্ধদিবস বন্ধ রাখার কথাও জানিয়েছে। অথচ ওই একই প্রতিষ্ঠান প্রবল গণআপত্তির মুখেও বাংলাদেশে কয়লা বিদ্যুৎ তৈরিতে পিছপা হচ্ছে না। এটি নিঃসন্দেহে একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ। আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) ইউনেস্কোর ৪৩তম সভার সকল সুপারিশ বাস্তবায়ন।
সুন্দরবানের পাশে রামপালসহ সকল শিল্প নির্মাণ প্রক্রিয়া বন্ধ ও সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা সম্পন্ন’ করার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সুলতানা কামাল বলেন, আমি ভারতবিরোধী কোনো কথা বলছি না।
স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় ভারত যদি আমাদের পাশে না দাঁড়াতো তাহলে আমরা মুক্তিযুদ্ধটা যেভাবে শেষ করতে পেরেছি সেভাবে হয়তো শেষ করতে পারতাম না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সেটা স্মরণ করি, সেজন্য অবশ্যই ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞও। কিন্তু আজকে বাংলাদেশকে একটা বাজারে কিংবা তাদের শিল্প কারখানার জায়গা বানিয়ে নিজেরা সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে নেবে, এ বিষয়ে আমাদের এখন চিন্তাভাবনা করতে হবে।
কীভাবে যৌথ গ্রুপ দীর্ঘমেয়াদে সুন্দরবনের ‘অনন্য বৈশ্বিক গুরুত্ব’ ধরে রাখতে অধিক কার্যকরী ভূমিকার কথা রাখবে। পশুর নদীতে যে কোনো ড্রেজিং করার পূর্বে পরিবেশগত মূল্যায়ন, সুন্দরবনের মধ্যে ড্রেজিং করার কঠোরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সুন্দরবনের ‘বৈশ্বিক গুরুত্ব’ অক্ষুণ্ন থাকে, বাঘ রক্ষার কর্মপরিকল্পনার উন্নয়নসহ ১৪টি সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলেও বলা যায় কোনোটিই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সুপরিবেশ সমর্থক মাত্রেই উদ্বেগ কুল দিন অতিবাহিত করছেন। দেশের মানুষ রামপালসহ সকল ক্ষতিকর প্রকল্প সম্পূর্ণ বাতিল চায়। সরকারের উচিত অবিলম্বে সব বন্ধ করে দেয়া। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল মতিন এবং ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশের সমন্বয়কারী ও বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল