ঘাটাইলে অতিথি পাখি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলা। একদিকে লাল মাটির পাহাড়বেষ্টিত  বনভূমি, অপরদিকে নদী-নালা, খাল-বিল ও চার ধারে জলাশয় থাকায় নানাবিধ কারণে দেশের ভেতরে অনন্য উপজেলা হিসেবে পরিচিতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রকৃতির অপার লীলায় প্রতি বছর টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে অতিথি হয়ে আসে ভিনদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এবারও ঘাটাইল শহরের অদূরেই ধলাপাড়ার চাপড়াবিলসহ বিভিন্ন জলাশয়ে এসেছে অতিথি পাখি। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে চাপড়াবিল ও বিভিন্ন জলাশয়। দর্শনার্থীরাও ভিড় করছেন পাখি দেখতে। দিনের ক্লান্তি শেষে কাজের ফাঁকে অনেকেই ঘুরতে আসছেন ঘাটাইলের চাপড়াবিলে। বৈরী পরিবেশ থেকে টিকে থাকার জন্য হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে আসে এই অতিথি পাখি।

শীত শেষ হয়ে আসলেও ঘাটাইলের বেশকিছু জায়গায় অতিথি পাখিতে ভরে উঠেছে জলাশয়গুলো। ঘাটাইলের চাপড়াবিল এবং নেদারবিল নামক দু’টি বড় জলাশয়ে প্রতিবছর কয়েকশ’ অতিথি পাখি আসতে দেখা যায়। এসব পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঝাঁক বেঁধে এক সঙ্গে আকাশে উড়ার দৃশ্য বিমোহিত করে দর্শনার্থীদের। চাপড়াবিল এবং নেদারবিলে গিয়ে চোখে পড়ে এমনই দৃশ্য। প্রায় বেশির ভাগ জায়গায় ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করছেন স্থানীয় কৃষকরা। পাখিগুলো বসার জন্য তেমন কোনো সুযোগ না পাওয়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে উড়ে বেড়াচ্ছে। এখানে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, আমরা প্রতিবছর এখানে বেশ কয়েকবার ঘুরতে আসি। বিশেষ করে শীতের সময়টা অনেক ভালোলাগে। অতিথি পাখিরা আসে, তাদের কিচিরমিচির শব্দ একটা সুরের পরিবেশ সৃষ্টি করে। স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম জানান, আমাদের এখানে গত কয়েক বছর ধরে অনেক অতিথি পাখি আসছে। আমরা পাখিগুলোকে বিরক্ত করি না।
এগুলো বিলে থাকলে দেখতেও ভালোলাগে। তাই দেখতে ও সময় কাটাতে জেলা-উপজেলার দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছে।

এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল মান্নান বলেন, আসলে অতিথি পাখিরা শীতের সময় দূর-দূরান্ত থেকে আসে। প্রতি বছর তারা ঘাটাইলের বিভিন্ন ছোট-বড় জলাশয়ে বিশেষ করে ধলাপাড়ার নেদারবিল এবং চাপড়াবিলে আসে এটা আমরা দেখেছি। বেশ কয়েক বছর ধরে অত্র উপজেলায় অতিথি পাখির বিচরণ লক্ষ্য করছি। বিপুল সংখ্যক পাখি আসে এখানকার জলাশয়গুলোতে। অতিথি পাখিরা যেখানে তাদের খাবারের সুবিধা বেশি পাবে, নিরাপদ আশ্রয়স্থল পাবে সেখানেই যাবে। আমাদের উচিত পাখিগুলোর উপর কোনো প্রকার অত্যাচার না করে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে দেয়া।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর