করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮০১, চীনের বাইরে ৫৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভয়াবহ কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে নতুন আরও ৮৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ২৮০১ জন, যার মধ্যে ৫৩ জন ছাড়া বাকি সবাই চীনের বাসিন্দা।

করোনাভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। পুরো বিশ্বে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ১৬৪ জন। যার মধ্যে শুধু চীনেই ৭৮ হাজার ৪৯৭ জন।

চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে অন্তত ৩০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কভিড-১৯। মৃতদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন চীনের বাইরের। যার মধ্যে ইরানে ১৯। চীনের বাইরে ইরানেই মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৩ এবং ইতালিতে ১২ জন মারা গেছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ওমরাহ পালন ও মসজিদে নববী পরিদর্শন এবং টুরিস্ট ভিসা সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব।

মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় সব দেশেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। বাহরাইনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩। ওমানে সংক্রমণ ঘটেছে চারজনের দেহে। কুয়েতে ২৩ জন, আরব আমিরাত ১৩ জন,  ইরাক ৫ জন, ইসরায়েলে ২ জন এবং মিসরে একজনের দেহে সংক্রমণ ঘটেছে করোনাভাইরাসের।

এদিকে ইউরোপের আরেকটি দেশ রোমানিয়ায় করোনাভাইরাসের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। দেশটিতে একজন আক্রান্তের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই ব্যক্তি ইতালির এক নাগরিকের সংস্পর্শে এসেছিলেন।

করোনা আতঙ্কে বাতিল করা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক মহড়া। চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়, দেশটিতে সংক্রমণ ঘটেছে ১৫৯৫ জনের দেহে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে করোনাভাইরাসটির উৎপত্তি। প্রদেশটিতেই এখন পর্যন্ত মারা গেছে আড়াই হাজারের অধিক।

করোনাভাইরাস শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ। এই রোগের কোনো প্রতিষেধক এবং ভ্যাকসিন নেই। মৃতদের অধিকাংশই বয়স্ক যাদের আগে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতা ছিল।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি মোড় নিতে পারে নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিউর বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে। পরিণতিতে ঘটতে পারে মৃত্যু।

এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতোই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর