প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রেমিকসহ ছয়জনের যাবজ্জীবন

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রেমিকের ডাকে সরল বিশ্বাসে সাড়া দিয়েছিলেন প্রেমিকা। পরে তার এ বিশ্বাসই কাল হলো তার। তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে প্রেমিক ও তার আরো পাঁচ সহযোগী পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ওই প্রেমিকাকে।  চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল রাতে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর ভাটপিয়ার চরে।

বৃহস্পতিবার আলোচিত এ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় দিয়েছে আদালত। রায়ে ছয় ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দণ্ডপ্রাপ্তদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে নির্যাতিত ওই তরুণীকে টাকা আদায় করে দেয়ার জন্য ডিসি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের মো. রাসেল, সোহেল, রাজ্জাক, নাজমুল, নুরু ওরফে নুর ইসলাম ও মোমিন। ধর্ষকদের মধ্যে সোহেল ও আব্দুল মোমিন পলাতক রয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের ওই ধর্ষিতার সঙ্গে পাঁচিল গ্রামের রাসেলের মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল রাতে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যমুনা নদীর ভাটপিয়ার চরে আসতে বলেন রাসেল। প্রেমিককে বিশ্বাস করে ওই তরুণী ভাটপিয়ারী যমুনার চরে গেলে আসামিরা সবাই মিলে তাকে ধর্ষণ করেন।

এতে ওই তরুণী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে আখ ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। ভোর ৪টার দিকে জ্ঞান ফিরলে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরার পথে অপর আসামি মোমিন তাকে একা পেয়ে সড়কের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই তরুণী ফোন করে তার বোন-ভগ্নিপতিকে বিষয়টি জানালে তারা অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বড় ভাই বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর