হাওর বার্তা ডেস্কঃ কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী রেলস্টেশনে একই লাইনে সিগন্যাল দেয়ায় যাত্রীবাহী দু’টি ট্রেন মুখোমুখি হয়ে পড়েছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে চালকের তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ময়মনসিংহ থেকে ভৈরবগামী লোকাল এবং ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জগামী এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলী ট্রেন দু’টিকে মানিকখালী রেলস্টেশনে একই লাইনে সিগন্যাল দেয়ায় দু’টি ট্রেন মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে।
এতে বড় ধরনের একটি দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। এসময় দুই ট্রেনের যাত্রীরা কান্নাকাটি শুরু করেন। এছাড়া ভয় পেয়ে অনেকে ট্রেন থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন।
স্টেশনে আগে থেকেই উপস্থিত ট্রেনের সম্মুখ লাইট দেখে এগারোসিন্দুর গোধূলী ট্রেনের চালক দ্রুত ব্রেক কষে মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ার আগেই ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হন।
এতে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি থেকে রক্ষা পান যাত্রীরা।
দুই ট্রেনের যাত্রীদের চিৎকারে এলাকার হাজার হাজার সাধারণ জনতা রেলস্টেশনে এসে জড়ো হন।
জানা গেছে, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ময়মনসিংহ থেকে ভৈরবগামী লোকাল ট্রেনটি মানিকখালি রেলস্টেশনের ২ নম্বর লাইনে দাঁড়ানো ছিল।
ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জগামী এগারোসিন্দুর ট্রেনটিকেও ২ নম্বর লাইনেই সিগন্যাল দেয়া হয়। ফলে ট্রেনটি ২ নম্বর লাইনে ঢুকে পড়ে।
কিন্তু স্টেশনে আগে থেকেই উপস্থিত লোকাল ট্রেনের সম্মুখ লাইট দেখে চলন্ত এগারোসিন্দুর গৌধূলী এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক দ্রুত ব্রেক কষেন। ট্রেনটিকে স্টেশনে দাঁড়ানো লোকাল ট্রেনটির মুখোমুখি অবস্থানে নিয়ে গিয়ে থামাতে সক্ষম হন চালক।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ঈশাখাঁ এবং ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী ঈশাখাঁ ট্রেন দু’টিকে মানিকখালী রেলস্টেশনে একই লাইনে সিগন্যাল দেয়ায় একই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।
ওই ঘটনার মাত্র ২৫ দিনের ব্যবধানে একই রেলস্টেশনে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো।