দায়িত্ব পাওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকবেন না আতিকুল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দায়িত্ব পাওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকবেন না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম। আগামী ২ মার্চ থেকেই অনানুষ্ঠানিকভাবে নিজের সিটি করপোরেশন এলাকায় কাজে নেমে পড়বেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালের মার্চে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে প্রথমবার বিজয়ী হন আতিকুল ইসলাম। তবে ওই মেয়াদে মাত্র ৯ মাস দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান তিনি। আইনি জটিলতায় ওই বছরের ডিসেম্বরেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে আবারও একই পদে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারির ওই নির্বাচনে জয়ী হলেও চলমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বভার গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাকে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) নবনির্বাচিত মেয়র হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন তিনি। এরপর চলমান বোর্ডের মেয়াদ শেষে আগামী ১৫ মে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। তবে তার আগেই নগরবাসীর পাশে দাঁড়াতে অনানুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামতে চান আতিকুল।
আতিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার এই কাজ হবে অনানুষ্ঠানিক। কারণ, নগরীকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলা সবারই দায়িত্ব। এজন্য দায়িত্বভার গ্রহণ করা পর্যন্ত অপেক্ষায় বসে থাকলে চলবে না।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, সামনে এডিস মশাসহ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমি শপথ নেওয়ার পর আগামী ২ মার্চ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় কাজ শুরু করবো। ডিএনসিসির মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা দেখবো। সকল কাজ মনিটরিং করবো। ‘হবু’ মেয়র হিসেবে নয়, নাগরিক হিসেবেও এটা আমার দায়িত্ব। কারণ, আমি মনে করি এখন মশক নিধনে যদি কোনও গাফিলতি হয় আগামীতে সেই দায়িত্ব আমার ঘাড়েই পড়বে। তাই এখন থেকেই কাজ শুরু করবো।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল আল্লাহর রহমতে শপথ নিচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়ে ডিএনসিসির মেয়র হতে সহযোগিতা করেছেন। তিনি ডিএনসিসিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যত ধরনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার সব নেওয়ার জন্য বলেছেন। ভোটের আগের দিন আমি তার সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাকে সহস দিয়েছেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি কাজের মানুষ, কাজ বুঝি। কাজ ছাড়া আমি থাকতে পারি না। আমি কোনও ঘুষ খাই না। কাউকে খেতেও দেবো না। কোনও অভিযোগ পেলে নগরবাসী আমাকে সরাসরি জানাতে পারবেন। আমার দরজা সবার জন্য খোলা থাকবে।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ১৫ মে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবো। সেদিন আমি নগর ভবনে যাবো। কিন্তু, এর আগে যে সময় রয়েছে আমি প্রতিটি কাজ দেখবো। নাগরিক হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব। কোনও কাজে গাফিলতি যাতে না হয় সেটাও আমি দেখবো।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর