বিডিআর বিদ্রোহ: খালেদা জিয়ার ভূমিকার বিষয়ে তদন্তের তাগিদ তথ্যমন্ত্রীর

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিডিআর বিদ্রোহে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ যারা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছিল তদন্তের মাধ্যমে তা বের হয়ে আসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে যারা ছিল তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা দরকার।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে টিভি নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিডিআর বিদ্রোহের বিচার সঠিক হয়নি বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সবকিছুতে একটু ভুলত্রুটি খোঁজার চেষ্টা করে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের শাস্তির বিষয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে, আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। আদালতের রায়কে কটাক্ষ করে কথা বলা, আবার আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দেওয়া, আন্দোলনের চেষ্টা করা, এসব বিএনপি ক্রমাগত করে আসছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের যে বিচার হয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এত বড় ঘটনায় এতগুলো সাক্ষী ও আসামি নিয়ে বিচারকার্য খুব কম হয়েছে। এ দুরূহ কাজটি শেষ করতে সরকার আদালতকে সহযোগিতা করেছে এবং আদালতের রায় হয়েছে। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যারা অভিযুক্ত হয়েছে তারা সাজাভোগ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে যে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে, যেটি নিয়ে নানা মহল থেকে কথা উঠেছিল এবং বেগম জিয়ার সেদিনকার যে ভূমিকা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়েছে। আমি মনে করি, পেছন থেকে যারা কলকাঠি নেড়েছিল খালেদা জিয়াসহ সেগুলো তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসা প্রয়োজন।’

বিডিআর বিদ্রোহের দিন ভোর রাতে বেগম খালেদা জিয়া তার ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‌‘সেদিন খালেদা রাতে এবং দিনে ৪০ বারের বেশি তার পলাতক ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। খালেদা সচরাচর ১১-১২টার আগে ঘুম থেকে ওঠেন না। সেদিন কেন তিনি ভোররাতে নিরুদ্দেশ হলেন এ রহস্য খুঁজে বের করে বিডিআর বিদ্রোহে যারা মদদ দিয়েছিল তাদেরও বিচারের আওতায় আনা দরকার।’

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ নিয়ে যুব মহিলা লীগ থেকে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। তাকে ইতিমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের সংগঠনে অনেক অনুপ্রবেশকারী ও সুযোগ সন্ধানী ঢুকেছে। তারা অনেকেই নানা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। তারা তাদের অপকর্মকে ঢাকার জন্য রাজনৈতিক ঢাল ব্যবহার করার জন্য আমাদের সংগঠনে ঢুকেছে। এদের খুঁজে বের করে সংগঠন থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো কিছু ধরা পড়লেই সেটাকে আওয়ামী লীগের নেতা বানানো সঠিক নয়। যারা এ ধরনের কাজ করছে তারা দুষ্কৃতকারী, কোনো একটা সংগঠনের কোনো এক জায়গায় তার নাম আছে এ রকম বলে তাদের আওয়ামী লীগের নেতা সাজানোর চেষ্টা করা সঠিক নয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর