ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা মাটিখেকোরা গিলে খাচ্ছে অন্যের জমি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী মৌজায় অবৈধ চলছে মাটি  কাটার মহোৎসব। এতে করে ভেঙে যাচ্ছে অন্যের ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। প্রতিকার চেয়ে হারুন আল  রশীদ ভুঁইয়া গতকাল কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলা খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লা তার ফসলি জমির মাটি বিক্রি করেছেন। ওই জমিতে একই গ্রামের আল-আমিন অবৈধ খনন যন্ত্র দিয়ে জমির বিশাল আকৃতির একটি গর্ত খুঁড়ে মাটি উত্তলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছে। এ অবস্থায় ওই জায়গার আসে পাশের জমি ও ভেঙে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজনন বাধা দিলেও তা মানছেন। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, মাটি ব্যবসায়ী ও খনন যন্ত্রের মালিক আল আমিন এলাকাবাসীর কথা তোয়াক্কা না করে জমিতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে প্রায় ৩০/৩৫ ফুট মতো গভীর করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রয় করে আসছেন। তার এই বিশাল আকারে গর্ত খুঁড়ে মাটি বিক্রয় ও জমির গভীরতার কারণে তাদের আশে পাশের জমি গুলো জন্য এখন হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হারুন আল রশীদ ভূইয়া বলেন, খনন যন্ত্র দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। অনেক গভীর করা হয়েছে।  তার ফসলি জমি ভেঙে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। তাদেরকে বারবার বাঁধা দিলেও কথা শুনছেন না। ফসলি জমি রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। নির্বাহী হাকিম ও ব্রা?হ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পুরো উপজেলার অবৈধ খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছিল। ধ্বংস করা হয়েছিল খনন যন্ত্রও। বর্তমানে কিছু জায়গায় আবারও নতুন করে খনন যন্ত্র বসানো হয়েছে। কয়েকটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই অভিযান চালিয়ে খনন যন্ত্র বন্ধ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর