তিন মাসের স্থগিতাদেশে ১৯ বছর পার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাক্ষী রিকলের জন্য দুর্নীতির একটি রিভিশন মামলায় চার সপ্তাহের রুল ও তিন মাসের স্থগিতাদেশ নিয়ে ১৯ বছর পার হয়ে গেছে। এর ফলে বিচারটি ঝুলে আছে ৩২ বছর ধরে। তবে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট ওই রুল খারিজ করে আগামী দুই মাসের মধ্যে মামলার রায় প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রুল খারিজ করে এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. আসিফ হাসান ও আসামিপক্ষে আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করেন। নথি থেকে জানা যায়, সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তিকে ধানী জমি দেখিয়ে ক্ষতিপূরণ প্রাক্কলন তৈরি করে আসামিরা বিভিন্ন জনের নামে জাল রেকর্ড করে সরকারের কাছ থেকে জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৩,৬১,৮২২ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। ১৯৮৮ সালের ১৪ নভেম্বর সত্যতা পাওয়ায় তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা মো. আলী আকবর বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ২০০১ সালের ৩০ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামি জীবননগর ডিগ্রি কলেজের সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. নিজাম উদ্দিন সরদারের পক্ষে সাক্ষীকে জেরা করতে না পারার কারণ দেখিয়ে যশোর স্পেশাল জজ আদালতে দরখাস্ত করেন। আবেদন নামঞ্জুর হলে তিনি হাইকোর্টে সে আদেশের বিরুদ্ধে ২০০১ সালের ১৮ জুলাই রিভিশন দাখিল করেন। হাইকোর্ট রিভিশন শুনানি শেষে ওই বছরের ১২ নভেম্বর তিন মাসের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এরপর কেটে যায় ১৯ বছর। রোববার শুনানি শেষে রুলটি খারিজ করে হাইকোর্ট দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলার রায় দিতে নির্দেশ দেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর