ভারতের চিনি রপ্তানিতে উল্লম্ফন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৯-২০ বিপণন বর্ষে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) ভারতের চিনি রপ্তানিতে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা দিতে পারে। পণ্যটির রপ্তানি বেড়ে ৫০ লাখ টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। ভারত, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চিনি উৎপাদনে মন্দাভাব বজায় থাকায় এবার পণ্যটির বৈশ্বিক সরবরাহ কমতে পারে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির চাহিদা ও ঘাটতির মধ্যকার ব্যবধান বাড়ার সম্ভাবনা আছে, যা ভারত থেকে চিনির রপ্তানি বৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে। ইন্ডিয়ান সুগার মিল এসোসিয়েশন (আইএসএমএ) স¤প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসএমএর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বিপণন বর্ষের শুরু থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে চিনির উৎপাদন ২৩ শতাংশ কমেছে। এ সময়ের মধ্যে দেশটির ৪৪৯টি মিল মোট ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টন চিনি উৎপাদন করেছে। আগের বিপণন বর্ষের একই সময়ে পণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার টন। সে সময়ে মোট ৫২১টি মিল চালু ছিল। চলতি বিপণন বর্ষে আখের অভাবে এরই মধ্যে দেশটির ২৩টি মিল বন্ধ হয়ে গেছে। আগের বিপণন বর্ষে একই কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া মিলের সংখ্যা ছিল ১৯টি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন ৪৬ লাখ ২০ হাজার টন কমেছে। আর আখের অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া মিলের সংখ্যা বেড়েছে ৪টি।

ভারতের শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে এবার পণ্যটির উৎপাদন অর্ধেকের বেশি কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক উৎপাদনে। বিপণন বর্ষের শুরু থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৪৩ লাখ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, আগের বর্ষে যা ছিল ৮৩ লাখ টন। একই সময়ে কর্নাটকে পণ্যটির উৎপাদন ৮ লাখ টন কমে ৩১ লাখ টনে নেমেছে। তবে বাড়তির দিকে রয়েছে উত্তর প্রদেশের উৎপাদন। রাজ্যটির মিলগুলোয় এ সময়ে মোট ৬৬ লাখ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। আগের বিপণন বর্ষে যা ছিল ৬৪ লাখ টন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর