এসডিজি অর্জনে শিক্ষায় ভালো করেছে বাংলাদেশ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষা ও অংশীদারিত্বের সূচকে বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো করছে। তবে শুধু প্রাথমিকে ভর্তির হার বাড়ানোয় সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না, এসডিজি অর্জন করতে হলে মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নের চার বছরের অগ্রগতি নিয়ে দু’টি প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত সংলাপে বেসরকারি খাত, উন্নয়ন কর্মী এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্মের এর আয়োাজন করে। খবর- বাসস

নাগরিক প্লাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।

সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত ড. রেনে হোস্টেন, ইউএনডিপির আবাসিক প্রধান মিয়া সেপো, সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, এশিয়া ফাউন্ডেশনের আবাসিক প্রধান ফয়সাল বিন সিরাজ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, সবার অংশগ্রহণে এসডিজি বাস্তবায়ন হচ্ছে। জাতীয় সংসদের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিরা জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। ফলে সংসদে একটি সময়ভিত্তিক পর্যালোচনা হওয়া প্রয়োজন, যাতে করে সবার সমস্যা ও অভিমত তুলে ধরা যায়।

সংসদে প্রতি দুইবছরে একটি সেশন এসডিজি পর্যালোচনার জন্য রাখার পরামর্শ দেন তিনি। এই প্রক্রিয়ায় দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, সমাজের সব স্তরের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। এতে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগকে তথ্য সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জিইডির হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এসডিজি বাস্তবায়নে দেশীয় ও বৈদেশিক সবমিলে আমাদের ৯২৮ বিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন। এ জন্য আমরা বেসরকারি খাত, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি), বৈদেশিক সম্পদ, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এবং বৈদেশিক সহায়তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এসডিজি’র শিক্ষা ও অংশীদারত্বের সূচকে বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো করছে। শুধু প্রাথমিকে ভর্তির হার বাড়ানোয় সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না, এসডিজি অর্জন করতে হলে মান সম্পন্ন শিক্ষা দিতে হবে।

মিয়া সেপো বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সমাজের পিছিয়ে পড়াদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে।

সুইস রাষ্ট্রদূত ড. রেনে হোস্টেন বলেন, এসডিজির প্রতিটি লক্ষ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায় বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা না হলে অন্য লক্ষ্যগুলোও অর্জন করা সম্ভব হবে না।

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এসডিজির ১৬ নম্বর লক্ষ্য টেকসই উন্নয়নের জন্য জবাবদিহিতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর