ঘরের মাঠে অঘটনের শিকার টটেনহ্যাম

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে হার দেখেছে টটেনহ্যাম হটস্পারস। ঘরের মাঠে জার্মান ক্লাব লাইপজিগের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয় হোসে মরিনহোর দল। এ নিয়ে কোচিং ক্যারিয়ারে তৃতীয় বারের মতো ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে হার দেখলো মরিনহো।

টটেনহ্যাম হটস্পারের স্টেডিয়ামে নামার আগে ইনজুরির কারণে কিছুটা পিছিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। দলের মূল স্ট্রাইকার হ্যারি কেন দীর্ঘদন ধরে নেই। কিছুদিন আগে ইনজুরির জন্য ছিটকে যান সন হিউং মিনও। তার সুযোগ নেয় লাইপজিগও। চোট জর্জর দলটিকে শুরু থেকে আক্রমণে কোণঠাসা করে ফেলে লাইপজিগ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো অতিথিরা। তবে টিমো ভেরনারের শট লরিস প্রতিহত করলে ফাঁকায় বল পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি অ্যাঞ্জেলিনো।

প্রথমার্ধে মোট ১৩টি শট টটেনহ্যামের জালে নেয় লাইপজিগ। তবে গোলের দেখা মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত ৫৮ মিনিটের মাথায়ে এগিয়ে যায় লাইপজিগ। টটেনহ্যামের ডিফেন্ডার বেন ডেভিস লাইপজিগের লাইমারকে ডি-বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় অতিথিরা। স্পট কিক থেকে গোল করেন ভেরনার।

তবে ম্যাচের শেষ ২০ মিনিট ম্যাচে ফিরে আসে মরিনহোর শিষ্যরা। ৭৩ মিনিটে জিওভান্নি লো সেলসোর ফ্রি-কিক ফিরিয়ে দেন লাইপজিগের গোলরক্ষক গুলাসি। এছাড়াও শেষ দিকে আরেকটি দারুণ আক্রমণ ফিরিয়ে দেন লাইপজিগের এ হাঙেরির গোলরক্ষক। শেষ ২০ মিনিটের খেলা তাই আশা জাগাচ্ছে মরিনহো ও টটেনহ্যাম অধিনায়ক লরিসকে।

ফিরতি লেগে আগামী ১০ মার্চ লাইপজিগের মাঠে খেলতে যাবে টটেনহ্যাম। এটি নিয়ে কোচ মরিনহো বলেন, ‘আমি ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। ফিরতি লেগে জয় নিয়ে ফিরতে পারবো। শেষ ২০ মিনিট খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স আমাকে সে বিশ্বাসই দিয়েছে। তবে আমার অনেক খেলোয়াড় ইনজুরিতে। বাকিরাও পুরো ৯০ মিনিট টানা খেলার মতো অবস্থায় নেই। আমি আপাতত এ নিয়ে ভাবছি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর