যৌন নিপীড়নের শিকার লঙ্কান নারী ক্রিকেটাররা

খবরটা ফাঁস হয় গত বছর অক্টোবরে। শ্রীলঙ্কার একটি সিংহলি ভাষার পত্রিকা লঙ্কান নারী ক্রিকেটারদের ওপর বোর্ডের কর্মকর্তাদের যৌন নিপীড়নের বড় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। নাম প্রকাশ না করে একজন সিনিয়র নারী ক্রিকেটারের উদ্বৃতি দিয়ে তারা ওই খবরটি প্রকাশ করলে হৈ চৈ পড়ে যায়। নড়েচড়ে বসেন কর্তরা। ওই সিনিয়র নারী ক্রিকেটার দাবি করেন, শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলে জায়গা পেতে কিংবা ধরে রাখতে হলে বোর্ডের কয়েকজন কমকর্তাকে যৌনসঙ্গ দিতে হয়। এই কাজ না করলে ফর্ম থাকা সত্ত্বেও নানা অজুহাতে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। নতুন যেসব খেলোয়াড়দের দলে নেয়া হয় তাদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হয়। কর্মকর্তাদের লালসা পূর্ণ না করায় প্রতিভাবান নারী খেলোয়াড় দল থেকে বাদ পড়েছেন। এমন খবর প্রকাশের পর নভেম্বরেই শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক নিমাল দিশানায়েকেন নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রনালয়। গত বুধবার তাদের সেই তদন্ত রিপোর্ট দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী নবীন দিশানায়েকের কাছে জমা দিয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেয়ে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। শ্রীলঙ্কার নারী ক্রিকেট দলের ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন প্রবীণ কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে ওই রিপোর্টে। তবে তিনি তাদের নাম এখনও প্রকাশ করেন নি। খুব শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা নারী ক্রিকেট দলের সদস্যদের ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রমাণ রিপোর্টে পাওয়া গেছে। এরসঙ্গে ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন প্রবীণ সদস্য জড়িত। খুব শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আইসিসি নারী ক্রিকেট দলের র‌্যাঙ্কিংয়ে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ষষ্ঠ। তাদের ওপরে আছে শীর্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। কয়েকদিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে চার ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হেরেছ শ্রীলঙ্কা। বড় ব্যবধানে এমন হারের জন্য অনেকে যৌন নিপীড়নকারী ওইসব কর্মকর্তাদের দুষছেন। সমর্থকদের অভিযোগ, তাদের কারণে অনেক প্রতিভাবান নারী ক্রিকেটার দল থেকে বাদ পড়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর