লরিয়াস বর্ষসেরা পুরস্কার বার্লিনে মেসির ইতিহাস সঙ্গী টেন্ডুলকারও

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জার্মানির বার্লিনে ২০১৯ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কারের মঞ্চে ইতিহাসই হয়ে গেলো। প্রথম  ফুটবলার হিসেবে লিওনেল মেসি জিতলেন ‘লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড’। কোনো দলগত খেলা থেকে প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে এ পুরস্কার জেতার কৃতিত্ব দেখালেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। মেসির সঙ্গে এ কৃতিত্বের ভাগিদার ফর্মুলা ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিল্টন। তাতে ২০ বছরে এই প্রথম যৌথভাবে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হলেন দু’জন। বার্লিনে মঞ্চ আলোচিত করেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারও। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পর টেন্ডুলকারকে ঘাড়ে তুলে ‘ল্যাপ অব অনার’ দিয়েছিল বিরাট কোহলি, হরভজন সিংরা। স্মরণীয় মুহূর্তটি গত দুই দশকের সেরা স্পোর্টিং মোমেন্ট হিসেবে পুরস্কার জিতেছে।

বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট সিমোনা বাইলস। টানা তৃতীয়বার এ পুরস্কার জিতলেন তিনি। ২০১৯ সালে রাগবি বিশ্বকাপজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে নিয়েছে বর্ষসেরা দলের খেতাব। তারা পেছনে ফেলে বিশ্বকাপজয়ী যুক্তরাষ্ট্র নারী ফুটবল দল ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ী ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলকে।
গতবছর জাতীয় দল ও ক্লাবের জার্সিতে ৫০ গোল করেন লিওনেল মেসি। জিতেছেন রেকর্ড ষষ্ঠ ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কারও। অন্যদিকে বৃটিশ লুইস হ্যামিল্টন গত বছর জিতেছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফর্মুলা ওয়ান শিরোপা। তবে ছুটিতে থাকায় নিজ হাতে পুরস্কার নেয়া হয়নি মেসির। ভিডিও বার্তায় ৩২ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘দলগত খেলা থেকে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এ পুরস্কার জিততে পেরে আমি সম্মানিত।’
আর মঞ্চে ওঠে শচীন বলেন, আমার সুযোগ হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে সাক্ষাত করার। তখন আমার ছিল মাত্র ১৯ বছর।  তার পরিশ্রম কখনও তার নেতৃত্বকে প্রভাবিত করেনি। তিনি আমাদের অনেক কথাই বলেছিলেন সেদিন। তবে সবার মধ্যে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার মনে আছে, তা হলো একমাত্র খেলাধুলার ক্ষমতা রয়েছে সকলকে একসূত্রে গাঁথার।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর