হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিন হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া দিতে না পাড়ায় জীবন দিতে হলো এক যুবকের। সোমবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এ যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির নাম কালাম।
জানা যায়, গত ৫ ফে্ব্র্রুয়ারী রহিম টেক্সটাইল নামক কারখানার পশ্চিম পাশে বাড়ী ভাড়ার তিন হাজার টাকা কালামের কাছে চান জুয়েল সিকদার, সোলেমান ও মজনু নামে তিন ব্যক্তি। এসময় কালাম কয়েকদিন পরে টাকা দিবে জানালে ওই তিন যুবক প্রথমে কিলগুলি মারতে থাকে।
এসময় তিন যুবককের হাতে পায়ে ধরে আবুল কালাম অনুনয়বিনয় করলেও তারা আরো ক্ষুব্দ হয়ে উঠে। পরে লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে। আবুল কালাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে তুলে লেপতোষকসহ পল্লীবিদ্যুৎ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এলাকার একটি ময়লার স্তুপের উপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
পরের দিন দুপুরে দিকে আবুল কালাম এর জ্ঞান ফিরে আসলে পথচারীরা তাকে জিজ্ঞেস করলে সে তার বাড়ীর ঠিকানা জানায়। ওই সময় আবুল কালামের বাবা আব্দুল খালেক খবর পেয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে প্রথমে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ১৪ জানুয়ারী সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরো অবনতি হলে চিকিৎসকরা কালামকে তার বাড়ী পাঠিয়ে দেন। ওই সময় চিকিৎসকরা পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে ছিলো, রোগির অবস্থা শেষ ষ্টেজে। তাই কালামের স্বজনরা তাকে বাড়ীতে নিয়ে যান। অবশেষে ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সোমবার মারা যায়।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর- শ্রীপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার নিহতের বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। এ ঘটনার পর পর বাড়ীওয়ালার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানান।
নিহত আবুল কালামের বাবা আব্দুল খালেক জানান, তিন হাজার টাকা বাড়ী ভাড়ার জন্য বাড়ীওয়ালা আলাউদ্দিনের ছেলে জুয়েল সিকদারসহ তার বন্ধুরা আমার ছেলেকে বেধরক মারপিট করে অজ্ঞান করে ফেলে। আমি গত ১০ ফেব্র্রুয়ারী এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানাকে অবহিত করে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
গাজীপুর সহকারী পুলিশ সুপার আল মামুন জানান, এ বিষয়ে নিহতের বাবা আগেই একটি অভিযোগ দিয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হবে। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।