দীর্ঘ সাত বছর পর শুরু হতে যাচ্ছে নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে পৌর মেয়র নির্বাচন করছে দেশের বড় দুটি দল। অবশ্য জাতীয় পার্টিও লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছে। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে আগের মতোই নির্দলীয় হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। শুধু মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে লড়বেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার পৌর নির্বাচন উৎসবমুখর হবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনের পর দেশজুড়ে দু’দলের প্রথম নির্বাচনী লড়াই। মাঝখানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা সিটি নির্বাচনে অংশ নিলেও নির্বাচনগুলো দলীয় প্রতীকে হয়নি। অতীতেও দলগুলো পৌর নির্বাচনে প্রার্থীকে সমর্থন দিলেও দলীয় প্রতীকে হয়নি। তবে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন যেহেতু দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না, তাই সেখানে দলীয় ও নির্দলীয় প্রার্থীরা ব্যক্তি হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অবশ্য মৌন সমর্থন থাকবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে দলীয় ও নির্দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় দেশজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। কিছু জায়গায় দলের প্রত্যয়নপত্র না পাওয়া দলীয় নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। অবশ্য আওয়ামী লীগের তরফে বলা হয়েছে, যারা বিদ্রোহী হয়েছে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। পৌর নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ১৩ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।