মুসলিমদের জন্য সংসদে নামাযের ব্যবস্থা করে দিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত ১৫ মার্চের নৃশংসতার স্মরণে মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) সংসদের বিশেষ অধিবেশনে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা তার বক্তব্য শুরুই করেন আরবিতে, ‘আসসালামু আলাইকুম (অর্থ: আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক)’ বলে।এছাড়া এদিন নিউ জিল্যান্ডে বসবাসকারী মুসলিম ছাড়াও অন্য বিশ্বাসের অনুসারিদের সংসদে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা নিজ ধর্মের বেশে সংসদে প্রবেশ করেন। প্রথমে মুসলিমদের জন্য সংসদে নামাযের ব্যবস্থা করে দেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। প্রধানমন্ত্রী কিউইদের কাছে ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসিজদে হামলায় নিহত ৫০ ও ৪৮ জন আহতের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন। একইসঙ্গে হতাহতদের স্বজনদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করেন। হামলাকারী ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ব্রেনটন টারান্টকে উদ্দেশ্য করে কিউই প্রধানমন্ত্রী সংসদকে বলেন, তিনি (টারান্ট) সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে অনেক কিছু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি কুখ্যাত। এজন্য আপনারা কখনই আমার মুখে তার নাম শুনবেন না।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা জানতে চাইতে পারেন, এখানে আমি কেন একবারও তার নাম (হামলাকারী) নিলাম না?
তিনি একজন সন্ত্রাসী, অপরাধী এবং উগ্রপন্থী। কিন্তু, আমি যখন তার প্রসঙ্গেই বলছি, সন্ত্রাসীর কোনো নাম হয় না।’ তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের অনুরোধ করব, যারা চলে গেছেন আমরা বরং তাদের নাম নেই ওই খুনির নাম নেয়ার চেয়ে। তাকে নিয়ে যখন আমি কথা বলব, তিনি নামবিহীন থাকবেন।’ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা বিশ্বব্যাপী পরিচিত শোকের কালো পোশাক পরে সংসদে আসেন। পরবর্তীতে তিনি, ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু (অর্থ: আপনার উপরও শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক)’ বলে তিনি বক্তব্য শেষ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী উঠে গিয়ে সংসদে আসা মুসলিমদের সঙ্গে গত ১৫ মার্চ মসজিদে হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা প্রকাশ করেন। মুসলিম নারীদের বুকে টেনে নেন।স্পিকার ট্রেভর মালার্ড বিভিন্ন ধর্মের বিশ্বাসীদের এই বিশেষ অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানান। তারা নিজ নিজ ধর্মীয় পোশাকে সংসদে এসে পরে প্রার্থনাও করেন। তবে সর্বপ্রথম মুসলিমদের নামায আদায় করতে দেয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর