হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রাজু কারিকর (২৫)।
১৭ দিন পর শনিবার বিকালে উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামে রাজুর মৃত্যু হয়।
নিহত রাজু উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের সিরাজ কারিকরের ছেলে।
জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি উপজেলার ঈশ্বরদী গ্রামের ওয়াদুদ মাতুব্বর ও রাজ্জাক মাতুব্বরের সমর্থকদের সঙ্গে মাসুদ মাতুব্বর ও ছলেমান মাতুব্বরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে মাসুদ মাতুব্বরের সমর্থক রাজু কারিকরসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আহতদের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাজু কারিকর ও এনায়েত মাতুব্বরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা নিয়ে রাজু কারিকর বাড়ি ফিরে যান।
সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে শনিবার বিকালে রাজুর মৃত্যু হয়। রাজুর স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
রাজুর বাবা সিরাজ কারিকর বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার ছেলে রাজুকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে রাজু তার শ্বশুরবাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিল। শনিবার বিকালে সালথায় শ্বশুরবাড়িতে রাজুর মৃত্যু হয়।
ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, রাজুর মৃত্যুর খবর ঈশ্বরদী গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে মাসুদ মাতুব্বরের সমর্থকরা আমাদের সমর্থকদের বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে।
লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে মাসুদ মাতুব্বর বলেন, এলাকায় কোনো লুটপাট হয়নি। তবে লুটপাটের ভয়ে আমাদের প্রতিপক্ষরা নিজেদের মালামাল নিজেরাই অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।
নগরকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, রাজুর মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, রাজুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঠেনঠেনিয়া গ্রামে রাজুর শ্বশুরবাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছি।
সালথা থানার এসআই মোস্তফা কামাল বলেন, রাজুর মরদেহ উদ্ধার করে শনিবার রাতে থানায় নিয়ে এসেছি। ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হবে।