কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪০ কিলোমিটার বেহাল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের অবস্থা একেবারে বেহাল হয়ে পড়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে এবং জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তবে সড়কের এমন দুরবস্থার জন্য সংস্কার কাজের ধীরগতিকে দুষছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পরিবহনের চালক-যাত্রী ও নানা শ্রেণি পেশার লোকজন।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার ময়নামতি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল পর্যন্ত অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ করতে চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সড়কের কুমিল্লা অংশের ৪০ কিলোমিটারের অবস্থা একেবারে বেহাল হয়ে আছে। তার মধ্যে দেবিদ্বারের চরবাকর থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার এলাকায় ভাঙাচোরা সড়কে যান চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। এই আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী বাসের চালক ফজলু মিয়া, ট্রাক চালক জুলফে আলীসহ যানবাহনের অন্তত ১২ জন চালক জানান, এই সড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজার, দেবিদ্বার পৌর এলাকার বানিয়াপাড়া মাটিয়া মসজিদ থেকে নিউমার্কেট, হাসপাতাল ও থানা গেট হয়ে জোবেদা খাতুন মহিলা কলেজ পর্যন্ত এবং মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকায় সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এসব এলাকায় সড়কের জায়গায় দৈনিক কাঁচাবাজার, হকার মার্কেট এবং সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডসহ অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এসব কারণে বেহাল সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

চট্টগ্রামের ট্রলি চালক হুমায়ুন কবির ও আলী হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরসহ বাখরাবাদ, গোপালনগর, বাঙ্গরা, তিতাস, হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ড এবং আখাউড়া বন্দরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় পাথর বোঝাই ট্রাক ও ভারী যানবাহনের চাপে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এছাড়া ধীরগতির কাজের কারণে এ সড়কে দুর্ভোগের অন্ত নেই। কলেজ শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সড়কের এমন খারাপ অবস্থায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গাড়ি চলাচলের সময় ধুলোবালুতে আচ্ছন্ন হতে হচ্ছে।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাকিব হাসান বলেন, সড়কের কাজ একেবারে মন্থরগতিতে চলছে। তাই জনদুর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।

কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ জানান, ঠিকাদারদের নিয়ে বৈঠক করে দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে বলেছি। বিশেষ করে দেবিদ্বার নিউমার্কেট এলাকার ১ হাজার ১০০ মিটার সড়ক ঢালাইয়ের কাজ এপ্রিল মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তবে উন্নয়ন কাজের জন্য সকলকে সাময়িক দুর্ভোগ মেনে নিতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর