বগা লেক ও রাইংক্ষ্যং পুকুর পানির রঙ বদলে যায়, দেখতে ভিড়

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাহাড়চূড়ায় স্বচ্ছ নীল জলের আধার। এটাই বান্দরবানের বিখ্যাত বগা লেক। ঠিক কত বছরের প্রাচীন এই লেক, তা জানে না কেউ। বগা লেক নিয়ে চাকমা, মারমা ও ম্রো জনজাতির মধ্যে প্রচলিত আছে নানা মিথ তথা লোককথা। এই বগা লেক এখন দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট। প্রতিবছর দেশ-বিদেশের হাজার হাজার প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটক ছুটে আসেন বগা লেকের পারে; এর রূপসুধা উপভোগ করতে।

তবে জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে গাঢ় নীল সলিলের আধার বগা লেক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঘোলাটে হয়ে যেতে শুরু করে। এবারও তা-ই হয়েছে। কিন্তু জানুয়ারি শেষ হয়ে ফেব্রুয়ারিতে এসেও তা ঘোলাই রয়ে গেছে। এখন তা আরো ঘোলাটে হয়ে গেছে। তাই বিষয়টি নানা জল্পনা, কল্পকথা আর গুজবের খোরাক জোগাচ্ছে স্থানীয় অনেকের মাঝে। বগা লেকের এই বিরূপ রূপ দেখতে প্রতিদিনই ছুটে আসছে অনেক উৎসুক পর্যটক।

তবে বগা লেকপাড়ার মানুষ বলছে, এই লেকের পানি ঘোলা হয়ে যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। প্রতিবছর শীত মৌসুমে হ্রদের পানি ক্রমে ঘোলা হতে থাকে। এ ছাড়া প্রতি তিন-চার বছর পর পর এই সময়টায় পানি ঘোলা হতে হতে প্রায় হলুদ হয়ে যায়। এ বছরও তেমনটি ঘটেছে বলে দাবি করেন বগা লেকপাড়ার বাসিন্দা লাল সিয়াম বম (৪৫) ও লাল কিমলিয়ান বম (৩৭)।

লাল কিমলিয়ান জানান, বগা লেকের পানি একবার ঘোলা হলে তা ২০ থেকে ৩০ দিন স্থায়ী হয়। এরপর ধীরে ধীরে ফের ধূসর হতে হতে ঘোলা ভাব কেটে গিয়ে একপর্যায়ে ফের স্বচ্ছ নীল রং ধারণ করে। তবে এবার ৩৫ দিন পার হয়ে গেলেও ঘোলা পানি রং বদলে নীল হয়ে উঠছে না।

এদিকে পাশের রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলাধীন বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতোই মং মারমা জানান, তাঁর ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত রাইংক্ষ্যং পুকুরের পানিও ঘোলা হয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বগা লেক থেকে রাইংক্ষ্যং পুকুরের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। জনশ্রুতি আছে, বগা লেকের পানি বাড়লে রাইংক্ষ্যং পুকুরের পানিও বেড়ে যায়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর