খোলা জেলখানা কাশ্মীর এখন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরকে স্বাভাবিক বলে দাবি করলেও তা মানছে না ভারতের বিজেপিবিরোধী রাজনৈতিক দল। বাম দল সিপিএম দাবি করেছে, ‘কাশ্মীর এখন খোলা জেলখানা।’

সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘সরকার এখন দাবি করছে কাশ্মীর স্বাভাবিক। অথচ সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ছয় মাসের অচলাবস্থায় সেখানের অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে।’

কাশ্মীর উপত্যকার সিপিএম নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ তারিগামি বলেছেন, ‘বিদেশি প্রতিনিধিদের কাশ্মীরে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কি বোঝাতে চেয়েছেন কাশ্মীর স্বাভাবিক? অথচ বিরোধী নেতাদের কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’ তাই তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘কাশ্মীরকে খোলা জেলখানা ঘোষণা করে দিতে পারে সরকার। এটাই কাশ্মীরের বাস্তব অবস্থা।’ তিনি বলেছেন, ‘বসতঘর, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও অতিথিশালা পরিণত হয়েছে জেলখানা।’
সিপিএমের কেন্দ্রীয় সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ৬ মাস কেটে গেছে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের। আর এই ৬ মাসে কাশ্মীরের পর্যটনশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশুপালন ও কৃষিশিল্প বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের।

ইয়েচুরি বলেন, সরকার রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে বলে দাবি করলেও সেখানকার নেতাদের এখনো পুরে রাখা হয়েছে জেলে। এখন সুপ্রিম কোর্টে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত মামলা চলছে। তিনি দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টে মামলার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত যেন সরকার সেখানকার জমি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত যেন না নেয়।

গত ৯ জানুয়ারি কাশ্মীরের অবস্থা দেখতে বিদেশি প্রতিনিধিদল গিয়েছিল। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, মরক্কো, নাইজার, নাইজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, গায়েনা, নরওয়ে, ফিলিপাইন, মালদ্বীপ, টোগো, ফিজি, পেরু, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা।

গত বছর ৫ আগস্ট ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভাগ করে দুই ভাগে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ রাজ্যে রূপান্তরিত করা হয়। তবে লাদাখকে দেওয়া হয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা। আর জম্মু ও কাশ্মীর আলাদা একটি রাজ্যের মর্যাদা পায়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর