ফুলের গ্রাম মাসুমাবাদ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্যস্ত রয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মাসুমাবাদের ফুল চাষিরা। বিশেষ দুটি দিনকে সামনে রেখে এবার ২০ লাখ টাকার ফুল যাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

মাসুমাবাদ গ্রামের প্রায় সব বাড়িতেই এখন কাঠ বেলি, চেরি, আলমেন্দা, গাঁদা আর রঙ্গন ফুলের বাগান রয়েছে। এসব ফুল পরিচর্যায় ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয় চাষিদের। দুপুর পর্যন্ত চলে ফুল তোলা। এরপর ঘরে বসে মালা গাঁথতে হয়।

এ বছর মাসুমাবাদ দিঘিরপাড়ের শহিদ উল্লাহ, শফিকুল ইসলাম, অতুল চন্দ্র দাস, রফিকুল ইসলাম, নাঈম মিয়া, আউয়াল মিয়াসহ প্রায় ৩০ জন একশ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছেন। তাদের অধীনে কাজ করছেন প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক। মালা বানানোর জন্য প্রতিদিন বাগান থেকে ফুল তুলে বাড়িতে নিয়ে যান তারা। বিকেলের মধ্যে মালা বানিয়ে মালিকের কাছে জমা দিতে হয়। কেউ কেউ প্রতিদিন ২০০-২৫০টি মালা গাঁথতে পারেন। এতে আয়ও বেশ ভালো হয়।

গ্রামের নাঈম মিয়া জানান, তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। এবার তিনি ১২ বিঘা জমিতে নানা জাতের ফুল চাষ করেছেন। তার বাগানে ৪০-৪৫ জন বিভিন্ন বয়সের নারী কাজ করেন।

তিনি আরো জানান, ফুলের প্রধান মৌসুম পৌষ-চৈত্র মাস। এ সময় গন্ধরাজ ফোটে। ফুল বিক্রি করে প্রতি বছর অন্তত পাঁচ লাখ টাকা আয় হয় তার। তিনি এখন স্বাবলম্বী।

একই গ্রামের কুলসুম বেগম বলেন, আমাকে ছেড়ে স্বামী চলে গেছেন। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকি। অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করে ও ফুলের মালা গাঁথার আয় দিয়ে ছেলেকে বড় করেছি।

ফুল চাষির মহাজন নাঈম মিয়া বলেন, প্রায় ৩০ জন এ এলাকায় ফুল চাষ করেছি। এখানে ফুল চাষের কারণে তিন শতাধিক পরিবার মোটামুটি ভালো আছে। তবে কারখানার বর্জ্য আর ডাইংয়ের কেমিক্যাল পানির কারণে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে আগের মতো ভালো ফলন হয় না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর