সিরাজগঞ্জে পা বেঁধে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার পাইকোশা গ্রামে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীর পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সুলতান মাহমুদ (৫৫) নামে এক মুদী দোকানদারের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করার কারণে থানায় মামলা করতে পারেনি প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর পরিবার।

নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ, গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবন্ধী কিশোরীটি বাড়ির বাইরে খেলা করছিলো। এসময় বাড়ির পার্শ্ববর্তী মুদী দোকানদার সুলতান মাহমুদ তাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। ঘরের মধ্যে নিয়ে ছাগলের রশি দিয়ে পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় কিশোরী চিৎকার করলে ওড়না দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে। পরে বাড়ি ফিরে এসে ঘটনাটি তার মা ও দাদাকে জানায় ওই কিশোরী। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। এতে সুলতান মাহমুদ গুরুতর আহত হয়ে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসা শেষে গতকাল বিকেলে সে বাড়ি ফিরে আসে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মামলা করতে নিষেধ করা হয়। বিষয়টি সামাজিক ভাবে মীমাংসার কথা বলেন স্থানীয় মাতব্বররা।

এ বিষয়ে নির্যাতিতা প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বলেন, আমার ছোট মেয়ে অসুস্থ্। আমি ওষুধের জন্য দোকানে যাই। পরে আমাকে মোবাইল ফোনে বলা হয় বাড়িতে গণ্ডগোল শুরু হইছে। বাড়ি এসে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করি কি হয়েছে। সে বলে সুলতান মাহমুদ তাকে ডেকে নিয়ে ঘরে মধ্যে পা বেঁধে ধর্ষণ করেছে। গ্রামের লোকজন ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। মুরুব্বিরা মীমাংসা করার চেষ্টা করার কারণে পুলিশকে জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে নির্যাতিতা কিশোরীর দাদা বলেন, আমার নাতনী বাড়ি এসে বলে সুলতান মাহমুদ আমার হাত-পা ও মুখ বেঁধে আমাকে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাটি জানার পর গ্রামের ছেলেরা তাকে মারপিট করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রামের মাতব্বররা মীমাংসার কথা বলে থানায় যেতে নিষেধ করে।

স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল বলেন, প্রতিবন্ধি কিশোরীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীকে কিছুই জানানো হয়নি। পরে যখন উভয়ের মধ্যে মারামারি হয় তখন ঘটনাটি প্রকাশ পায়।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের কোন অভিযোগ থানায় করা হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর