কাশ্মীরি কুল চাষে সোহাগের সফলতা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গায় নতুন জাতের কাশ্মীরি কুল চাষে সাফল্য পেয়েছেন তরুণ কৃষক সোহাগ। গত বছর জেলায় পরীক্ষামূলক আবাদ হয় এ কুলের। এ বছর জেলার অনেক স্থানে কাশ্মীরি কুলের আবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি সোহাগের মতো অনেক বাগান মালিক। স্বল্প খরচেই অধিক ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। তারা মনে করছেন, মোটা অঙ্কের লাভ হবে কুলের বাগান থেকে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কাশ্মীরি কুল নামে পরিচিত এ কুল চুয়াডাঙ্গা জেলায় অনেকটাই নতুন। গত বছর অল্প জমিতে এর চাষ শুরু হয়। এ বছর বেশ কয়েকজন কৃষক এ কুলের চাষ করেছেন।
তার মধ্যে সদর উপজেলার বাজারপাড়ার বাসিন্দা আহসানুল হক জোয়ার্দ্দার সোহাগ দেড় বিঘা জমিতে কাশ্মীরি কুলের বাগান করেছেন। ইতিমধ্যেই বাগান ভরে গেছে কুলে কুলে। অনেকেই আসছেন সোহাগের বাগান দেখতে।

কৃষক সোহাগ জানান, ৯ মাস আগে দেড় বিঘা জমিতে ২৭০টি কাশ্মীরি কুলের চারা লাগান তিনি। এবছরই গাছে ফুল আসে। অল্প সময়েই কুলে কুলে ভরে ওঠে গাছ। কুলের ভারে নুয়ে পড়ছে এক একটি গাছ। ইতিমধ্যেই কুল বিক্রিও শুরু করেছেন। তার ধারণা, এক একটি কুল গাছ থেকে ২০-৩০ কেজি কুল সংগ্রহ করা যাবে। স্বল্প সময়ে অধিক লাভের জন্য কাশ্মীরি কুল চাষ অনন্য বলে জানায় সোহাগ।

সোহাগের মতে, এক বিঘা জমিতে কুলের আবাদ করতে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। এক বছরের মধ্যেই গাছে ফল আসে। প্রথম বছরেই এক বিঘা জমি থেকে দুই লাখ টাকার কুল বিক্রি করা সম্ভব। বাগানের একই গাছ থেকে পরবর্তী চার-পাঁচ বছরে আরো বেশি পরিমাণে ফলন আশা করছেন তিনি। ওই সময় পরিচর্যা ও দেখাশোনা ছাড়া তেমন কোনো খরচ নেই। কুলটি খেতে সুস্বাদু হওয়ায় ভালো বাজার পাবে বলে মনে করছেন সোহাগ।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, বাজারে বিভিন্ন ধরনের কুল রয়েছে। নতুন এ কুলটি খেতে সুস্বাদু হওয়ার এর চাহিদা ভালো থাকবে। কাশ্মীরি কুলের বাগান দেখে ইতিমধ্যেই অনেক কৃষক এ চাষ করার ইচ্ছা পোষণ করেছে। কৃষকরা যদি কৃষি বিভাগের পরামর্শে যথাযথভাবে এ জাতের কুল চাষ করেন, তাহলে দেশের কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর