চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ জনশক্তি অত্যন্ত জরুরি: প্রধানমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারিগরি দিক দিয়ে বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে চলছে। খুব শিগগির চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটবে। সেই বিপ্লবের সঙ্গে মানিয়ে চলতে আমাদের জনশক্তিকে দক্ষ করা অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে সরকার।

রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ২৩তম আইডিইবি জাতীয় সম্মেলন এবং ‘স্কিলস রেডিনেস ফর এচিভিং এসডিজি অ্যান্ড এডপটিং আইআর ৪.০’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) সম্মেলনের আয়োজন করে।

ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বক্তব্য দেন। আর স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুর রহমান।

সম্মেলনের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার জাতির পিতা এবং তার পরিবারের নিহত সদস্য, শহীদ চার নেতা, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ এবং ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের মানুষকে কারিগরি ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে দক্ষ করে তুলতে চাই। যাতে তারা পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে সমান তালে চলতে পারে।

তিনি বলেন, ‘দক্ষ জনশক্তি আমাদের দেশের উন্নয়ন খাতে অবদান রাখতে পারবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন। আমরা বিদেশের শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১১ বছরে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ৫০০ পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। সরকারি পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার থেকে ১ লাখে উন্নীত হয়েছে। ভারতীয় ঋণে ২৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ তলা ভবন, ওমেন ডরমেটরি, ওয়ার্কশপ ও ল্যাব নির্মাণের মাধ্যমে ৪৯টি টেকনিকের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক উপজেলায় কারিগরি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে ১শ’ উপজেলায় কারিগরি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে ৬ হাজার ৪০০ শিক্ষক ও কর্মচারীর কর্মসংস্থান হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্মের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দূরদর্শী অনেক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছি আমরা।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মুজিববর্ষ পালনে আপনারা দেশব্যাপী কাজ করছেন।

আমরা চাই আপনারা পরিবেশ, প্রতিবেশ, চাষযোগ্য জমি ও জলাধার রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। অপরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য যাতে কোনো আবাদি জমি নষ্ট না হয়, সেজন্য আমরা একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি চাই না বাংলাদেশের একটি লোকও গৃহহীন থাকুক। প্রতিটি লোক যাতে থাকার ঘর পায়, এজন্য জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা অনেকগুলো গৃহায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশ ‘উন্নয়নের রোল মডেল’-এ পরিণত হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৮.১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এখন নিজস্ব অর্থায়নে ৯০ শতাংশ উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছি আমরা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর