মেসি-সুয়ারেজের জোড়া গোলে বিধ্বস্ত রোমা

চোট কাটিয়ে পুরো ৯০ মিনিট মাঠে লিওনেল মেসি। টিম বার্সেলোনার উজ্জীবিত হতে আর কি লাগে! প্রথম লেগে যে রোমার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিলো তাদের বিপক্ষেই কিনা ফিরতি লেগে ৬-১ গোলের জয়। তবে এদিন রিয়ালের বিপক্ষে উরুতে চোট পাওয়া নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডার হ্যাভিয়ের মাশচেরানো একাদশে ছিলেননা।

তবে এমএসএন জুটির মেসি-সুয়ারেজ দুটি করে গোল পেলেও এদিন গোল বঞ্চিত থাকতে হয় নেইমারকে। তবে ৭৭ মিনিটে গোল করা সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও গোল আদায় করে নিতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান এ ফুটবল সেনসেশন। ডি বক্সে তাকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। তবে ওয়ান টু ওয়ান শুটে রোমা গোল রক্ষককে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন তিনি। তবে ফিরতি শটে ঠিকই গোল আদায় করে নেন তারই ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ আদ্রিয়ানো। অপর গোলটি আসে জেরার্ড পিকের পা থেকে। রোমার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন এডিন জেকো।

বার্সেলোনার পক্ষে ১৫ মিনিটে গোলের সূচনা করেন লুইস সুয়ারেজ। নেইমারের বাড়িয়ে দেওয়া বল দারুণ ভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দানি আলভেজ বাড়িয়ে দেন সুয়ারেজকে। তা থেকে নিখুঁত শটে গোল আদায় করে নেন সুয়ারেজ।

তিন মিনিটের ব্যবধানে ব্যাবধান দ্বিগুন করেন ইনজুরি থেকে সদ্য ফেরা মেসি। এবার সুয়ারেজের অ্যাসিস্ট থেকে গোল আদায় করে নেন মেসি। বিরতির মাত্র ১ মিনিট আগে সুয়ারেজ আবারও রোমার জালে বল জড়ালে কোনঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। ৫৬ মিনিটে মেসি এবং ৩ মিনিটের ব্যবধানে পিকে আবারও গোল করলে বড় জয় নিশ্চিত হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের।

৭৭ মিনিটে নেইমার পেনাল্টি মিস করলে ফিরতি বলে গোল করে স্কোরলাইন ৬-০ করেন আদ্রিয়ানো। রোমার পক্ষে জেকোর সান্তনা সূচক গোলটি আসে খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে। ৯০ মিনিটে তিনি পরাস্ত করেন বার্সা গোল রক্ষক স্টেগেনকে।এই জয়ে নিজেদের মাঠ ক্যাম্পে ন্যুতে টানা ৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো বার্সেলোনা। সেই সঙ্গে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউট পর্বে জায়গা করে নিলো আগের আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর