টমেটোয় কৃষকের মুখে হাসি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজবাড়ীতে বিপুল প্লাস জাতের টমেটো রোপন করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে এই জাতের টমেটোর চাষ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, গত বছর রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ৩১৫ হেক্টর, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৩২৫ হেক্টর, পাংশায় ৮৫ হেক্টর, বালিয়াকান্দিতে ১০ হেক্টর ও কালুখালী উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে মোট ৭৭৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছিলো।
এ বছর রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ৩২০ হেক্টর, গোয়ালন্দে ৩৪৫ হেক্টর, পাংশায় ৮৫ হেক্টর, বালিয়াকান্দিতে ১০ হেক্টর ও কালুখালী উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে মোট ৮০০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। এ থেকে প্রায় ২০ হাজার মেট্টিক টন টমেটো উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

গতকাল সকালে সরেজমিনে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওয়াজানি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাঠের পর মাঠ টমেটোর আবাদ হয়েছে। বাজারে দাম বেশি তাই পাকা টমেটো তুলতে ব্যস্ত কৃষক। এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওয়াজানি গ্রামের কৃষক নিজাম শেখ বলেন, আমি এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে বিপুল প্লাস জাতের টমেটা রোপন করেছি। ৬০ শতাংশ জমিতে টমেটো রোপন, সার ও কীটনাশকসহ মোট খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। এ থেকে সব মিলিয়ে কমপক্ষে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।

একই সময় সুলাইল সরদার নামে অপর কৃষক বলেন, এই কাওয়াজানি গ্রামটি চরাঞ্চলের হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পলি মাটি পরে জমির উর্বরতা বাড়ে। তাই এই অঞ্চলে সব ধরনের সবজিরই ভালো ফলন হয়। এ বছর সবচেয়ে বেশি হয়েছে টমেটোর চাষ। এখন বাজারে টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া এই এলাকার টমেটো বিষমুক্ত যে কারণে অনেক সময় ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকেই টমেটো কিনে নিয়ে যায়।

সুফিয়া নামে অন্য এক কৃষক বলেন, আমি এ বছর এক বিঘা জমিতে টমোটোর চাষ করেছি। বিপুল প্লাস জাতের এই টমোটো ৭ থেকে ৮টিতেই এক কেজি হয়। এই জাতের টমেটোর ফলনও বেশি। আমরা টমেটো ক্ষেত থেকে তোলার পর ঢাকার মিরপুর বাজারে নিয়ে যাই। সেখানে পাইকারি বিক্রি করি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর