হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিংবদন্তি শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের হৃদয় পাগল করা এই গান “ওকি গাড়িয়াল ভাই, হাঁকাও গাড়ি তুই চিলমারী বন্দরে,’ এখন আর গ্রামে-গঞ্জে মানুষের কণ্ঠে শোনা যায় না। নাইয়রির এখন আর গরুর গাড়ি লাগে না। নকশা করা ছবি তোলা গরুর গাড়ির পরিবর্তে নাইয়রি মেয়ে এখন অত্যাধুনিক গাড়ি চড়ে বাপের বাড়ি যায়। দেশের কোথাও কোথাও হেলিকপ্টারেও নাইয়রি যায়। গাড়িয়ালের হৈ হৈ হট হট চিৎকার, গরুর গাড়ীর ক্যাচ ক্যাচ শব্দ আর শোনা যায় না। উপহার সামগ্রী এখন যায় ট্রাক বোঝাই করে। আর তাই বংশ পরম্পরায় গাড়িয়াল আজিম উদ্দিন হাবিবের মতো হাজার হাজার গাড়িয়াল পেশা বদল করে কেউ এখন দিনমজুর কেউ রিক্সাচালক। কিংবা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের আঁকা সেই বিখ্যাত ছবির মতো মাল বোঝাই গরুর গাড়ির কাদায় আটকে পড়া চাকাও কেউ ঘাড় দিয়ে ঠেলে তোলে না। উত্তর জনপদের একেবারেই উত্তর ঘেঁষে ‘বাহের দেশে’ এই আদি যানটির প্রচলন আগে থেকেই বেশি। মালামাল পরিবহন, নাইয়রি আনা, বিয়েসহ দুর অঞ্চলে যাতায়াতে গরুর গাড়ি ব্যবহার হয়ে আসছে সেই আদিকাল থেকে। এমনকি রাজা বাদশারাও যুদ্ধ ক্ষেত্রে রসদ পরিবহনের জন্য এই যানটি ব্যবহার করতেন বলে শোনা যায়।